চলতি এশিয়া কাপে ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে মাশরাফিরা।প্রথমে টসে জিতে ব্যাটিং করে ৪৮ ওভার ৫ বলে সব উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান করেছে টাইগাররা। জয়ের জন্য পাকিস্তানের ৩৪০ রান দরকার।
এই দিন লিটনের সাথে ব্যাটিংয়ে আসেন সৌম্য সরকার। অনেক আশা নিয়ে সৌম্যকে ব্যাটিংয়ে পাঠান টিম ম্যানেজমেন্ট।কিন্তু সৌম্য সেই আশা পূরন করতে পারলেন না।শূন্য রান করে ফেরেন সাজ ঘরে। সৌম্যর বিদায়ের পরপরই বোল্ড আউট হন মুমিনুল হক।৪ বল খেলে এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান করেন ৫ রান।পরের ওভারে জুনায়েদের বলে লিটন দাসও বোল্ড আউট হন।
শুরুতেই তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা।এরপর মুশফিক ও মিথুনের ব্যাটিংয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ের চাপ কিছুটা কাটিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।ব্যাটিংয়ে ঝলক দেখিয়ে এই বিপর্যয়ের মধ্যেও মুশফিক তাঁর ক্যারিয়ারের ৩০তম ফিফটি করেন। মুশিকের ফিফটির পরেই মিথুনও ফিফটি করেন। এই দুই ব্যাটসম্যানের রানে ভর করে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে টাইগাররা।
এরপর ৩৩ ওভারের মাথায় হাসান আলীর বলে মিথুন ক্যাচ আউট হলে ভেঙে যায় এই জুটি। মিথুন বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে আসেন ইমরুল কিন্তু এই দিন ব্যর্থ হন ইমরুল। শাহদাবের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। এরপর মুশফিক একাই ম্যাচ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পৌঁছিয়ে গিয়েছিলেন সেঞ্চুরির দ্বার প্রান্তে।কিন্তু দুর্ভাগ্য তাঁর মাত্র ৯৯ রান ক্যাচ আউট হন এই উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যান।
টাইগারদের ব্যাটিং করেছেনঃ লিটন(৬), সৌম্য(০), মুমিনুল(৫), মিথুন(৬০), ইমরুল (৫), মুশফিক(৯৯), মাহমুদউল্লাহ(২৫),মিরাজ(১২), মাশরাফি(১৩), রুবেল(১) ও মোস্তাফিজ(০)।
আজ মাশরাফি একাদশে বড় পরিবর্তন এসেছে। আঙুলের ইনজুরির কারণে খেলতে পারছেন না সাকিব আল হাসান। তাঁর পরিবর্তে দলে জায়গা পেয়েছেন মুমিনুল হক।এছাড়াও শান্তর পরিবর্তে খেলছেন সৌম্য সরকার ও নাজমুল ইসলাম অপুর জায়গায় খেলছেন রুবেল হোসেন।
মাশরাফি একাদশঃ মাশরাফি বিন মর্তুজা(অধিনায়ক), মুমিনুল ,মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ,ইমরুল কায়েস,লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, মোহাম্মদ মিথুন।