ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে দেশে আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে ২২শে অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ সময় জেলেদের কষ্ট লাগব করতে জেলেদের ২২ দিনে ২০ কেজি চাল দেওয়া হবে।
পদক্ষেপ বাংলাদেশের আয়োজনে ‘আন্তর্জাতিক ইলিশ, পর্যটন ও উন্নয়ন উৎসব ২০১৮’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এ কথা জানান।
আজ বৃহস্পতিবার থেকে 'আন্তর্জাতিক পর্যটন দিবস' উপলক্ষ্যে ৩ দিনব্যাপী এ উৎসব ঢাকার হোটেল পূর্বাণীতে শুরু হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আন্তর্জাতিক ইলিশ, পর্যটন ও উন্নয়ন উৎসবের আহ্বায়ক কবি আসাদ চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পদক্ষেপ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুন নিসা।
মন্ত্রী বলেন, ইলিশ হৃদরোগ ও হার্টের রোগের উপশম হিসেবে কাজ করে। এটি মেধা বিকাশে কাজ করে। তাই ইউরোপ আমেরিকায় মাংসের চেয়ে ইলিশ মাছের দিকে মানুষ বেশি ঝুঁকছেন। আমরা মাছে ভাতে বাঙালি এবং ইলিশ আমাদের সবচেয়ে প্রিয়। তারই স্বীকৃতিতে ইলিশকে বাংলাদেশের জাতীয় মাছ হিসেবে ঘোষণা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। বাংলাদেশে পৃথিবীর প্রায় ৬৭ ভাগ ইলিশ উৎপাদিত হয়। আজ আমরা ইলিশ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
মন্ত্রী ইলিশকে কাব্যে স্থান দেয়ার মাধ্যমে এর প্রচার-প্রসার ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনিও তার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কবি-সাহিত্যিকদের নিয়ে ইলিশের পক্ষে জনমত গঠনের ব্যাপারের আশাবাদ প্রকাশ করেন।
ইলিশের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে দেশবাসীসহ সরকারের কঠোর মনোভাবের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইলিশের নির্দিষ্ট কোনো দেশ নেই বলে অবারিত সাগর-নদীর মাধ্যমে আন্তঃদেশীয় অবস্থানে এরা বেড়ে ওঠে। তাই এদের প্রাচুর্যবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের মতন জাটকা নিধন রোধ এবং মা-ইলিশের আহরণ রোধেও দরকার আন্তঃদেশীয় সমন্বিত উদ্যোগ।
বক্তারা আলোচনা ও কাব্যে ইলিশের গুণগানের মাধ্যমে এর প্রাচুর্যবৃদ্ধি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণের ওপর জোর দেন এবং আবার মাছে ভাতে বাঙালির গৌরব ফিরিয়ে আনায় সরকারসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি কাজী রোজী এমপি, ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যামসুন্দর সিকদার, মৎস্য অধিদফতরের ডিজি আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, শিশু সাহিত্যিক ফারুক হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভারতের কবি-সাহিত্যিকগণ উপস্থিত থেকে ইলিশের পক্ষে কবিতাপাঠে অংশ নেন।