এখন ইলিশের ভরা মৌসুম। তুলনামূলকভাবে সস্তায় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। ইলিশ অনেকের প্রিয় মাছও। তাই একসঙ্গে অনেকেই ডজন ডজন ইলিশ কিনে বাসায় নিয়ে যান। কিন্তু অনেক ক্রেতাই ইলিশ কিনে বিভিন্ন চক্রের পাল্লায় ইলিশ খোয়ান। এমনই এক ক্রেতার নাম গোলাম কিবরিয়া। তাঁকে বোকা বানিয়ে ইলিশ নিয়ে চোখের পলকে উধাও হয়ে গেলেন মিন্তি (মালামাল বহনকারী)।
বাজারে এত লোকের আনাগোনার মধ্যে এমন ঘটনায় রীতিমতো বোকা বনে যান গোলাম কিবরিয়া। তিনি প্রথম আলোকে জানান, আজ সকাল সাড়ে আটটায় তিনি কারওয়ান বাজারে পাইকারি মাছের আড়ত থেকে ১২টি ইলিশ কেনেন। এক দোকান থেকেই সবগুলো কিনেছিলেন। মাছগুলোর ওজন ছিল কম-বেশি ৯০০ গ্রাম করে। একেকটির দাম পড়েছে ৫০০ টাকা। মোট ৬ হাজার টাকার মাছ কিনে তিনি নিজেই বাজার থেকে বেরিয়ে আসছিলেন। এ সময় এক ব্যক্তি তাঁর সামনে এসে বলেন, ‘স্যার আমার কাছে দেন, আমি নিয়া যাই’।
গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘পুরো ঘটনাটিই খুব দ্রুত ঘটেছে। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে যান তিনি। বাজার বেশি হলে মিন্তিকে দিয়ে তা বহন করাই আমি। মিন্তিকে খুব ভালোভাবেই নজরে রেখে যাচ্ছিলাম। কারওয়ান বাজারে কিচেন মার্কেটের নিচে মাছের দোকানগুলোর গলির ভেতর দিয়ে তাঁরা যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দুটি লোকের সঙ্গে ধাক্কা খান তিনি। এরপরই একটি লোক বলে ওঠেন, ‘ভাই আপনার টাকা পড়ে গেছে’। টাকা পড়ে গেছে কিনা দেখার জন্য এদিক-ওদিক তাকানোর ফাঁকেই মিন্তি মাছ নিয়ে দ্রুত এক গলিতে ঢুকে যান।
তিনি আরো বলেন, পরে বুঝতে পারি, ওই লোকগুলো ইচ্ছে করেই আমাকে ধাক্কা দিয়েছে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য আমি টাকা পড়েছে কিনা দেখার জন্য নিচে তাকাই। এই ফাঁকেই মিন্তি মাছ নিয়ে সরে পড়ে’।
আশপাশের গলিগুলোতে মিন্তির খোঁজ করেও কোন লাভ হয়নি। আশাপাশের লোকজনও মাছ নিয়ে কাউকে যেতে দেখেননি।
এভাবে বাজার করতে আসা ক্রেতাদের বোকা বানানোর জন্য একটি চক্র হয়তো সক্রিয় রয়েছে কারওয়ান বাজারে। এমনভাবে নিশ্চয় অনেককে বোকা বানানো হয়’। তিনি মাছ খোয়ানোর ঘটনায় কোথাও অভিযোগ করেননি বলে জানান।
কারওয়ান বাজারের কয়েকজন বিক্রেতা বলেন, পণ্য বিক্রি করার পর তাঁদের আর কোনো দায় থাকে না। মিন্তি সেজে এভাবে বাজারে চুরি করতে পারে কেউ কেউ। ক্রেতাদেরই এ কারণে সতর্ক থাকা উচিত।