Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ শুক্রবার, মে ২০২৫ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

স্বামী-সন্তানদের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, সহপাঠীর সাথে পরকীয়া!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৭:৪০ PM
আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৭:৪০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


পরকীয়া অপরাধ নয়। জানিয়েছে খোদ ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই পরকীয়ার জন্যই খুন হয়ে গেলেন এক যুবক। বিবাহিত মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অভিযোগে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হল এক যুবককে। রেল লাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল যুবকের রক্তাক্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার গোয়ালাডিতে।

ভারতের পুরুলিয়ার গোয়ালাডিতে এ ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতের নাম ললিত মাহাত। পুরুলিয়ার কোটশিলার চয়াডি গ্রামে বাড়ি ললিত মাহাতের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিবাহিত এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ান ললিত। গোয়ালডি গ্রামের বাসিন্দা অশ্বিনী গোপের মেয়ে পদ্মাবতীর সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ললিতের। মাত্র ১২ বছর বয়সী পদ্মাবতীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তার। তাদের সংসারে দুই সন্তানও হয়। কিন্তু, তারপরই দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এতে করে দু’জনের সম্পর্কে চিড় ধরে। একপর্যায় স্ত্রী পদ্মাবতীকে তার বাবার বাড়িতে রেখে চলে যায় ললিত। এরপর থেকে ৪ বছর ধরে বাবার বাড়িতেই আছেন পদ্মাবতী।

এদিকে, কলেজে পড়ার সময়ই ললিতের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল পদ্মাবতীর। বাপের বাড়িতে ফিরে আসার পর ফের ললিতের সঙ্গে সম্পর্ক দানা বাঁধে পদ্মাবতীর। ইতিমধ্যে ললিতেরও বিয়ে হয়েছে। এক সন্তানও আছে। কিন্তু পদ্মাবতীর কাছে সেকথা গোপন করে যান ললিত। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুজনের মধ্যে।

তবে বিবাহিত মেয়ের পরপুরুষের সঙ্গে প্রেম মেনে নিতে পারেনি পদ্মাবতীর পরিবার। অভিযোগ, সেই রাগেই ললিতকে খুন করেন পদ্মাবতীর বাবা অশ্বিনী গোপ, দদা ইন্দ্রজিত গোপ ও খুড়তুতো ভাই কমল গোপ।

ললিতের বাড়ির লোক জানিয়েছেন, ফোন করে ডেকে নিয়ে যায় ললিতকে। তারপরই নিখোঁজ হয়ে যান ললিত। পরে রেললাইনের ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ললিতকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Bootstrap Image Preview