মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ঘোষণাপত্র দলিলের ভূয়া দাতা সাজিয়ে দলিল সম্পাদনের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) দুপুরে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন আশিদ্রোন ইউনিয়নের পশ্চিম খাসগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মো. কাশিম আলী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার মা হাজেরা বিবির ক্রয় সূত্রে সুনগইড় মৌজার জেএলনং ৬৮,এসএ খতিয়ান নং ৮৮,আর এস খতিয়ান নং ১১৩৮,এসএ দাগ নং ৩২১,আর এস দাগ নং ৬৬৫,ইহাতে ১১.১৯ শতক বর্তমানে বাড়ী রকম ভূমি মালিক ছিলেন। তিনি মারা যাবার পর আমিসহ আমার দুই বোন কমলা ও আঙ্গুরা বেগম এবং মৃত ভাই আরব আলী উত্তরাধিকারী সূত্রে মালিক হই।
কিন্তু আমার ছোট বোন আঙ্গুরা বেগম গত ৫ সেপ্টেম্বর শ্রীমঙ্গল সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে আমার আরেক ছোট বোন কমলা বেগম ব্যতিত আমিসহ ভাই আরব আলীর উত্তরাধিকারী মিছির আলী, আমির আলী, মালা বেগম, মনি বেগম, নয়ন বেগম ও মরিয়ম বেগম, মোছাঃ বেগমকে দলিল দাতা সাজিয়ে ঘোষনাপত্র ভূয়া দলিল (৩৫৩৭/১৮) সম্পাদন করে সে একক মালিক হয়ে যায়।
কাশিম আলী আরও বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে এই জাল ঘোষনাপত্র দলিলের বিরুদ্ধে গত ১লা অক্টোবর জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২ নং আমল আদালত মৌলভীবাজারে ২৮৭/২০১৮ দঃবিঃ ৪৬৭/৪২০/১০৯/৫০৬(২) ধারায় মোকদ্দমা দায়ের করি। এ মামলায় আঙ্গুরা বেগম, কমলা বেগম, জাহেদ হোসেন, শহীদ হোসেন, ইসমাইল হোসেন ও দলিল লেখক সমীরণ চক্রবর্তী (সনদ নং ৪২) কে আসামী করা হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে আমাদের অনুপস্থিতিতে টিপসহি ও স্বাক্ষর জাল পূর্বক আমাদের পরিবর্তে অন্য লোকদের সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে উপস্থিত করে আমাদের নাম পরিচয় দিয়ে উক্ত ঘোষনাপত্র দলিল সৃজন করা হয়।
জানতে চাইলে দলিল লেখক সমীরণ চক্রবর্তী বলেন, দলিলদাতাদের কাউকে আমি চিনি না। তবে আমি গ্রহীতা ও পরিচয়দাতাদের সবাইকে চিনি। দলিলের পরিচয়দাতা শহীদ ওদলিল গ্রহীতা আঙ্গুরা বেগমই দলিলদাতা সাজিয়ে অন্য লোকদের রেজিষ্ট্রি অফিসে নিয়ে আসে।
দলিল সম্পাদনে জাতীয় পরিচয় পত্র কেন যাচাই বাছাই করা হলো না? এমন প্রশ্নের জবাবে সমীরণ বলেন, এনআইডি কার্ড সাধারণত দলিলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, ঘোষনাপত্র দলিলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়