গত ২৬ সেপ্টেম্বর ১৬৪ জন যাত্রী নিয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। এর কারণ যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল বলে দাবি করেছে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানায় ইউএস-বাংলা।
২৬ সেপ্টেম্বর বিমানটি ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পৌঁছলে অবতরণের সময় সামনের চাকা (নোজ গিয়ার) বের হচ্ছিল না। পরে পাইলট ও কো-পাইলট দক্ষতার সঙ্গে বিমানটিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করান।
সংবাদ সম্মেলনে এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের নীতিমালা, বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের বিধিবদ্ধ সব নিয়ম অনুসারে উড্ডয়নের আগে তিন ধাপে ওই বিমানটির টেকনিক্যাল চেকিং করা হয়েছিল। তারপরও বিমানটির সামনের চাকা কী কারণে সেদিন কাজ করেনি, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ, এ রকম অনেক ঘটনা আছে, যেখানে গিয়ার ফেল করার ব্যাপারগুলোকে যথাযথ দক্ষতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার কারণে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সে ক্ষেত্রে আমাদের ঘটনাটার ক্ষেত্রে দেখতে পাই যে, আমাদের ক্রুরা ভালোভাবে ব্যাপারটা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন।
বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন জাকারিয়া সবুজ বলেন, সেদিনের উদ্ভূত পরিস্থিতি আমি পুরাপুরি বলে দিয়েছিলাম যে- আমরা নোজ গিয়ার ছাড়াই ল্যান্ড করব। সেজন্য নিরাপত্তার প্রশ্নে যে ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, আমাদের কেবিন ক্রুরা সেটা যাত্রীদের বলে দিয়েছিলেন।সেদিনের সেই অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি সামলে উঠতে পারার পেছনে কেবল পাইলটের একার ভূমিকা নয়, বিমানে উপস্থিত সবারই ভূমিকা ছিল।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিশ্বব্যাপি এয়ারলাইন্স কোম্পানীগুলো ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানইজেশনের (আইকাও) একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। অপরদিকে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের বিধিবদ্ধ নিয়ামাবলী এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্সের ক্ষেত্রে অপারেটরকে কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হয়। কেউ চাইলেই এর ব্যতিক্রম করা সম্ভব নয়। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স শুরু থেকেই কঠোরভাবে এইসব নীতিমালা অনুসরণ করে আসছে। ইউএস-বাংলার এয়ারক্রাফট উড্ডয়নের আগে তিন ধাপে তার টেকনিক্যাল চেকিং হয়। বিদেশি প্রকৌশলীরা প্রতিরাতে এয়ারক্রাফটগুলো রুটিন মাফিক চেক করেন।