Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাবা আমি কি বাঁচব না?

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:১৬ PM
আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:২৪ PM

bdmorning Image Preview


নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ

বাঁচতে চায় কবিতা। চটপটে শিশু, প্রতিদিন স্কুলে যায়। মক্তবে পড়ে। অন্য সকল শিশুদের মতই হাসিখুশি, বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করে। সবেমাত্র শিশুশ্রেণিতে পড়ে। বয়স ৫ বছর। কিন্তু এমন দুরন্তপনা শিশুটি নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে। শরীরে থ্যালাসেমিয়া রোগ ধরা পড়েছে।

একদিন তাকে নিয়ে মা-বাবার আলোচনায় সে শুনতে পায় প্রতি মাসে রক্ত না দিতে পারলে কবিতাকে বাঁচানো যাবে না। তখনই কবিতা দৌড়ে গিয়ে তার বাবার কোলে উঠে বলে ‘বাবা আমি কি বাঁচব না, আমি কি আর স্কুলে যেতে পারবো না।' এরকম কথা শুনে বাচ্চাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ওঠে মা-বাবা।

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার অরণ্যপাশা গ্রামের আমজদ আলীর পুত্র হেলাল মিয়া ও মোর্শেদা খাতুনের মেয়ে কবিতা। কবিতা তাদের ২য় সন্তান। পূর্বে মোর্শেদার এক ছেলে সন্তান ৪ বছরের মাথায় একই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এরপর বছর পরেই মোর্শেদার কোলে মেয়ে শিশু দোল খায়। বাবা-মা ফুটফুটে মেয়েটির নাম রাখে কবিতা।

দুই মাস পরেই মা-বাবার কষ্টের জীবন সংসারে নতুন দূর্ভোগের ধ্বনি আসে। শিশু কবিতা ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে ডাক্তারী পরীক্ষায় ধরা পরে শিশু কবিতা থ্যালাসামিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

কবিতার বাবা দিনমুজুরি করে এবং মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনমতে সংসার চালায়। কিন্তু বাচ্চার এই কঠিন রোগ দেখা দেওয়ায় মাকে বাড়িতে থাকতে হয় কবিতার দেখাশুনার জন্য। মা-বাবার মন বিশাদগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। গরীবের সংসার কিভাবে এর উন্নত চিকিৎসা করাবে। তবুও দিনরাত পরিশ্রম করে ও বিভিন্ন সহযোগিতায় শিশু কবিতার দেহে রক্ত ভরার টাকা যোগাড় করতে হয়। এর আগে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার করিয়েও কোন লাভ হয়নি। এভাবেই চলছে কবিতার জীবন।

কবিতার মা মোর্শেদা জানান, অর্থের অভাবে মেয়ের উন্নত চিকিৎসা করাতে পারি না। এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে মেয়েকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কবিতাকে মাদ্রাজ নিতে হবে।

কবিতার বাবা হেলাল মিয়া জানান, প্রতি মাসে মাসে তার শরীরে রক্ত দিতে হয় এবং প্রতিদিন ঔষধের খরচ পড়ে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।

অরন্যপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এমন একটি শিশুর শরীরে থ্যালাসেমিয়া ভাবতে অবাক লাগে। কয়েকদিন আগে স্কুলে এসে তার মা বিষয়টি জানালে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কিছু টাকা সংগ্রহ করে দিই তার চিকিৎসার খরচের জন্য।

নান্দাইল উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. অনুপম ভট্টাচার্য জানান, শিশু কবিতাকে বাঁচাতে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।

শিশু কবিতা আক্তারকে সাহায্য করতে চাইলে যোগাযোগ- তার বাবার মোবাইল-০১৯২২৬০৭৮২০ নম্বরে।

Bootstrap Image Preview