Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

টিনএজারদের ব্রণ সমস্যা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:৩৫ PM
আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:৩৫ PM

bdmorning Image Preview


ব্রণ টিনএজারদের পরিচিত সমস্যা। ব্রণ শতকরা ৮০ ভাগ টিনএজারদের সমস্যা। মুখের ত্বকের সৌন্দর্যহানির জন্য ব্রণ দায়ী। ছেলেদের ব্রণ তীব্রতার দিক থেকে বেশি হলেও মেয়েদের ক্ষেত্রে রোগটি সামাজিক কারণে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটি এক প্রকার বিড়ম্বনা।

ত্বকের ভেতরের সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে সেবাম নামক এক প্রকার তৈলাক্ত পদার্থ বের হয় এবং এবং লোমকূপের গোড়া দিয়ে ত্বকে এসে যায়।সেবাম উৎপাদন বেড়ে গেলে এবং এর নির্গমনের পথ বন্ধ হয়ে গেলে ব্রণ সৃষ্টি হয়ে থাকে। প্রোপাইনো ব্যাকটেরিয়াম একনি হচ্ছে ব্রণের জীবাণুর নাম।

এন্ড্রোজেন হরমোনের কারণে ব্রণ বেশি হয়। এন্ড্রোজেনের প্রভাবে সেবাম নিঃসরণ বেড়ে যায়। টিনএজারদের শরীরে এই হরমোনের কার্যকারিতা বেশি শুরু হয়। যাদের ত্বক তৈলাক্ত ও ত্বকে খুশকি আছে তাদের ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। যারা ধুলাবালি ও রোদে বেশি বের হয় তাদের ব্রণ হতে পারে।

কিছু কিছু ওষুধ ও জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িও ব্রণের তীব্রতা বাড়ায়। ব্রণ দেখতে বিভিন্ন রকম হতে পারে গুঁটি গুঁটি, দানাকার, লালচে গোটা, পুঁজসহ দানা, বড় চাকা ইত্যাদি হতে পারে। ব্রণের সঠিক চিকিৎসা না হলে বাজে ধরনের কালো দাগ পড়তে পারে।

এছাড়া মুখে ছোট ছোট ক্ষত বা গর্ত সৃষ্টি হতে পারে। সৌন্দর্য হানি ও মানসিক নানা ভোগান্তির শিকার হয় ব্রণের রোগীরা। ব্রণের হাত থেকে রেহাই পেতে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। ব্রণের চিকিৎসা দীর্ঘস্থায়ী। তাই রোগীর ধৈর্যধারণ প্রয়োজন।

আধুনিক পদ্ধতিতে ব্রণের চিকিৎসা নিলে ব্রণ ভালো হবে। তবে এরপর আর কখনো ব্রণ উঠবে না এমন বলা যায় না। মুখ পরিষ্কার রাখা ও ত্বক সঠিক নিয়মে পরিষ্কার করা ব্রণের রোগীদের ক্ষেত্রে খুব প্রয়োজন। সঠিক সাবান দিয়ে দিনে তিনবার মুখ ধুতে হবে। আবার ব্রণের কালো দাগের রয়েছে আলাদা চিকিৎসা।

তাই ব্রণের চিকিৎসায় পাশাপাশি আগের ব্রণের কালো দাগ নির্মূলের জন্যও চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। ব্রণ হলে হাত দিযে খুটবেন না এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা করান। মনে রাখবেন, মুখ মনের আয়না।

Bootstrap Image Preview