হটলাইনে অভিযোগ আসে জাল ও ভুয়া সনদ ব্যবহার করে পদোন্নতির চেষ্টা করছেন খাদ্য অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তা। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতেই রাজধানীর আবদুল গণি রোডস্থ খাদ্য ভবনে অভিযান পরিচালনা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আর এ অভিযানেই বেরিয়ে আসে কর্মচারীদের ৩৮টি জাল ও ভুয়া সনদ।
আজ সোমবার (৮ অক্টোবর) সকালে দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় জাল ও ভুয়া সনদগুলো জব্দ করে দুদক।
দুদক সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার খাদ্য বিভাগের কর্মচারীদের বিভাগীয় পদোন্নতির বৈঠকের তারিখ নির্ধারিত ছিল। অফিস সহায়ক থেকে অফিস সহকারী পদে বিভাগীয় পদোন্নতির জন্য গঠিত কমিটির এই বৈঠক সামনে রেখে অনেক কর্মচারী জাল ও ভুয়া সনদ ব্যবহার করে পদোন্নতির চেষ্টা করে। এ বিষয়টি নিয়ে এক ব্যক্তি অভিযোগ করে দুদকের কাছে। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের এনফোর্সমেন্ট দলের সদস্যরা খাদ্য ভবনে তাৎক্ষণিক অভিযান চালান। অভিযানে বেরিয়ে আসে কর্মকর্তাদের জাল সনদ। এসময় ৩৮টি ভুয়া সনদ জব্দ করা হয়।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য অধিদপ্তরের এমআইএসএন্ডএম বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন হিসাব ও অর্থ বিভাগের উপরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল এহসান এবং সরবরাহ, বণ্টন ও বিপণন বিভাগের উপপরিচালক মো. আল-ওয়াজিউর রহমান।
এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংস্থাটির পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানায় দুদক সূত্র।