Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

পৃথিবী নিয়ে ‘ভয়াবহ’ সাবধান বাণী দিলো বিজ্ঞানীরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৪:৩১ PM
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৪:৩১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


মানুষের বসবাসের একমাত্র গ্রহ ‘পৃথিবী’ নিয়ে ভয়াবহ সাবধান বাণী দিয়েছেন জাতিসংঘের একদল বিজ্ঞানী। তারা বিশ্বনেতাদের সতর্ক করে বলেছেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পৃথিবীর উত্তাপ এক ডিগ্রিও কমানো সম্ভব হবে কিনা তার ওপর এই গ্রহের বাঁচা-মরা নির্ভর করছে।

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সংস্থা ইন্ট্রাগভার্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (আইপিসি) বিজ্ঞানীরা রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ার ইচিয়নে এক সম্মেলনে উষ্ণায়ন বিষয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করে এই সতর্কবার্তা দেন।

উষ্ণতা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞানীরা বলেন, ‘উষ্ণায়ন সম্পর্কে এটাই শেষ সাবধান বাণী। এরপর আর চাইলেও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের কোনো উপায় থাকবে না। পৃথিবী এখনই সম্পূর্ণ লাগামহীন হয়ে তাপমাত্রা প্রায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির দিকে এগিয়ে চলেছে।’

এই প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হলে, সমাজের সব ক্ষেত্রে দ্রুত, সুদূরপ্রসারী ও নজিরবিহীন কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। এটা অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ হলেও তা করার সুযোগ এখনো শেষ হয়ে যায়নি, উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

সম্মেলনে প্রতিবেদনের ৩৩ পৃষ্ঠার একটি সারসংক্ষেপ পেশ করা হয়, বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতিনিধিদের জন্য। এতে জলবায়ু গবেষকদের গবেষণার ফলাফল এবং অর্থনীতি ও জীবনযাপনের মান নিয়ে চিন্তিত রাজনীতিকদের মতের পার্থক্য স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।

এই সম্মেলনে পর্যবেক্ষক কাইসা কোসোনেন বলেন, বিজ্ঞানীরা বড় বড় হরফে ‘এখনই পদক্ষেপ নাও আহাম্মক’ লিখতে চাইলেও তাদের সেটা করতে হবে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এবং তারা সেটিই করেছেন।

বিজ্ঞানীরা এসব তথ্য-উপাত্ত ও প্রকৃত উদাহরণ ব্যবহার করে বিপজ্জনক জ্বরে আক্রান্ত এক পৃথিবীর চিত্র তুলে ধরেছেন। আমাদের ধারণা ছিল, এই শতাব্দীতে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে আটকে রাখা গেলে জলবায়ুর পরিবর্তন সামাল দেয়া যাবে।

কিন্তু, এখন আর পরিস্থিতি সে রকম নেই। নতুন গবেষণাটি জানাচ্ছে, তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বৃদ্ধি পেলে পৃথিবী আর বাসযোগ্য থাকবে কিনা তা নিয়েই সন্দেহ দেখা দিচ্ছে এবং মাত্র ১২ বছরের মধ্যেই অর্থাৎ ২০৩০ সাল নাগাদ এই ‘নিরাপদ বেষ্টনী’ ভেঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে পৃথিবীর তাপমাত্রা।

আমরা চাইলে এই সীমার মধ্যে তাপমাত্রা ধরে রাখতে পারি। কিন্তু, তা করতে সরকার, এমনকি সাধারণ মানুষেরও আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন দরকার হবে। সেই সঙ্গে খরচ হবে বিপুল পরিমাণ অর্থ। আগামী দুই দশকে এতে প্রয়োজন হবে বিশ্বের মোট জিডিপির ২.৫ শতাংশ।

এরপরও আমাদের এমন সব যন্ত্র, গাছ ও কারখানা দরকার হবে, যা দিয়ে বাতাসের কার্বন ধরে মাটির নিচে পুঁতে রাখা যাবে, চিরকালের জন্য!

Bootstrap Image Preview