হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বিদেশে পাঠানোর জন্য ট্রেনিংয়ের কথা বলে লালচাঁন্দ চা বাগানে নিয়ে যুবতীকে ধষর্ণের অভিযোগ উঠেছে এক দালালের বিরুদ্ধে। যুবতী বানিয়াচং উপজেলার সিদ্দিক মিয়ার কন্যা।
এ ঘটনায় ছিদ্দিক মিয়ার কন্যা গত রবিবার রাতে চুনারুঘাট থানায় ধর্ষণের অভিযোগ তুলে একই উপজেলার প্রতাবপুর গ্রামের মৃত তুতা মিয়ার পুত্র ইদু মিয়া (৪৫)কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে চুনারুঘাট পুলিশ মামলাটি আমলে নিয়ে ধর্ষিতার মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে পুলিশি হেফাজতে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
ভুক্তভোগীর পিতা ছিদ্দিক মিয়া জানান,‘ গত ৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মেয়েকে ট্রেনিং নিয়ে যাবে বলে আমার বাড়িতে বলে যায়। কিন্তু দালাল ট্রেনিংয়ে না গিয়ে আমার মেয়েকে ৩ দিন ধরে চুনারুঘাট লালচাঁন্দ চা বাগানের একটি ঘরে নিয়ে আটক রেখে জোড় পুর্বক ধর্ষণ করেছে।’ ভাই জাহিদ হোসেন জানান, লেদু মিয়া দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন যুবতী মেয়েদেরকে মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দিয়ে বিদেশে পাচার করে আসছে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ৪ অক্টোবর রাত ৮ টায় লেদু একটি গাড়ি দিয়ে বিদেশের জন্য ট্রেনিংয়ের কথা বলে ভুক্তভোগীর বাড়ি হতে নিয়ে যায় চুনারুঘাট ৫নং শানখলা ইউনিয়নের লালচাঁন্দ চা বাগানে তার বন্ধু নুর মিয়ার বাড়িতে। সেখানে লেদু মিয়া স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে অবস্থান নেয়। তখন লেদু ভিকটিমকে জানায় সেখানে দুইদিন থাকতে হবে কারণ লেদুর বস এসে তাকে নিয়ে যাবে এমন প্রলোভনে দুই দিন অতিবাহিত হয়। দুই দিন পরে এলাকাবাসীর কাছে ধরা পরে লেদু। তখন বিষয়টি আশপাশের লোকজন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তাদেরকে থানায় প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে.এম আজমিরুজ্জামান জানান, ‘ভিকটিম বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় ধর্ষণ মামলা করেছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মেডিকেল প্ররেণ করা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’