Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ সোমবার, মে ২০২৫ | ২২ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

তারেককে দেশে ফিরিয়ে আনতে কষ্ট হবে না: অ্যাটর্নি জেনারেল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:১৫ PM
আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:১৫ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


২০০৪ সালে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া ১৯ জনকে যাবজ্জীবন ও বাকি ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। এই রায়ে খুশি হলেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি আওয়ামী লীগ। কারণ, তারা তারেক রহমানের ফাঁসির আদেশ প্রত্যাশা করছিল।

বহুল আলোচিত এই মামলায় রায়ের পরদিন বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম মনে করেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কষ্ট হবে না।

অ্যাটর্নি জেনারেলও মনে করেন এই মামলায় তারেক রহমানের ফাঁসির আদেশ হওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো নিজে খুন করেননি, কিন্তু খুন করিয়েছেন বলে তাকেও মৃত্যুদণ্ড পেতে হয়েছে। তাই আমারও মনে হয়, তারেকের অন্যান্যদের মতো ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল। আজ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এসেছে, রাষ্ট্রীয় সমর্থন, প্ররোচনা ও অর্থায়নে এই হামলা হয়েছে।’

‘এ মামলায় তারেক রহমানকে যদি নাটের গুরু বলা হয়ে থাকে, তবে সেটা রায় পর্যালোচনা করে দেখব। রায় পড়ে যদি দেখি তারও মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত ছিল, তবে তার দণ্ড বাড়াতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আপিল করব। এর সবটাই নির্ভর করবে রায়টি পড়ার পর।’

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়ে একজন পাকিস্তানিও সাজা পেয়েছেন জানিয় মাহবুবে আলম বলেন, ‘এখানে আমরা অনুমান করছি, বাংলাদেশের ক্ষতি করার জন্য, বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য পাকিস্তান এখনও নিবৃত্ত হয়নি। দেশটি এরই মধ্যে সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পড়েছে। আমরা সেক্ষেত্রে জেএমবিসহ জঙ্গিদের দমন করতে সফল হয়েছি। সাজাপ্রাপ্ত ওই পাকিস্তানি নাগরিককে নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, তারেক রহমান ১০ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। এর আগেও দুর্নীতির দুই মামলায় তার মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। তাকে ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

Bootstrap Image Preview