Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ মঙ্গলবার, মে ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পাথরঘাটায় চলছে ইলিশ শিকার

ইমরান হোসাইন, বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ০২:৪০ PM
আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ০২:৪০ PM

bdmorning Image Preview


বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী ও বলেশ্বর নদীতে অসাধু জেলেরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুযোগ পেলেই মা ইলিশ শিকারের জন্য নদীতে নামছেন। যদিও ইলিশ ধরা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের কথা বলছে মৎস্য বিভাগ।

জানা যায়, গত ৭ অক্টোবর থেকে আগামী ২৮ অক্টোবর ইলিশ শিকারে সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। নিষিদ্ধ মৌসুমে ইলিশ শিকার বন্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে বিষখালী ও বলেশ্বরে। কিন্তু নদীর সীমানা বৃহৎ হওয়ায় অভিযানের ট্রলার একদিক থেকে অপরদিকে যেতে প্রায় দুই থেকে তিন ঘন্টা সময় লেগে যায়। এর ফাঁকে অসাধু জেলেরা ছোট ছোট নৌকা নিয়ে কৌশলে গভীর রাতে ও খুব ভোরে বিষখালীর বিভিন্ন এলাকায় ইলিশ শিকার করে যাচ্ছে। আবার প্রকাশ্যে বাজারে বিক্রি করতে না পারায় নদীর পাড় থেকেই মানুষের কাছে বিক্রি করছে শিকারকৃত ইলিশ। নিধনকৃত মা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি ধরে। সস্তা দামে ইলিশের লোভে অনেকে জড়ো হচ্ছে বিষখালীর পাড়ের ঝোঁপে।

জেলেরা জানান, বিভিন্ন সোর্স এর মাধ্যমে অভিযানের সংবাদ পাওয়া যায়। তাছাড়া সব সময় ইলিশ পাওয়া যায় না। এখন এক ঘন্টা নদীতে জাল ফেললেই সহজেই ইলিশ পাওয়া যায়। অনেক সময় ধরা খেয়ে জেলেও যেতে হয়। 

সূত্রমতে, নদীতে একাধিক অভিযান না থাকার সুযোগে জেলেরা খন্ডকালীন সময়ে নদীতে নেমে পড়ে। এছাড়াও ছোট ছোট নৌকায় বড় ইঞ্জিন ব্যবহার করছে। তাদের গতি দ্রুত থাকায় অভিযানের ট্রলার দেখলেই তারা ইঞ্জিন চালু করে দ্রুত জাল ফেলে পালিয়ে যায়। 

এ বিষয় পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম জানান, ফাঁকি দিয়ে কিছু অসাধু জেলে এ কাজ করছে। বিষখালী ও বলেশ্বরে মা ইলিশ রক্ষায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে ৪ জেলেকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রত্যক জেলেকে অর্থদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া উদ্ধারকৃত বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং ইলিশগুলো এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়। তিনি আরো জানান, অভিযানের জন্য একটি সীবোর্ড থাকলে অভিযান পরিচালনা করতে আর সুবিধা হতো।     

Bootstrap Image Preview