ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে আজ ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে নেয়া হবে। রংপুরের মানহানির মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
সোমবার (২২ অক্টোবর) রাত ৯টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর উত্তরায় জেএসডি নেতা আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে তাকে ডিবি পুলিশের একটি দল গ্রেফতার করে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম এ বিষয় নিশ্চিত করেন।
মাহবুব আলম আরো বলেন, আটকের পরপরই ব্যারিস্টার মইনুলকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ব্যারিস্টার মইনুলকে রংপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে নেয়া হবে।
রংপুরে নগরীর মুলাটোল মহল্লার বাসিন্দা মানবাধিকারকর্মী মিলি মায়া সোমবার ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন। মামলাটি তার পক্ষে রংপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আইনুল হোসেন। আদালতের বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা মামলাটি গ্রহণ করেন।
মইনুল হোসেনকে গ্রেফতারের বিষয় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার চাওয়া প্রচলিত আইনে তার বিচার হোক। সত্য প্রকাশ পাক। তার ওপর আমার ব্যক্তিগত কোনো রাগ বা ক্ষোভ নেই।
এই অভিযানের সঙ্গে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ব্যারিস্টার মইনুলকে যখন গাড়িতে তুলে নেয়া হয়, তখন তিনি জানতে চান, তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে?
এর জবাবে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনাকে মিন্টো রোডে নেয়া হবে।’ গাড়িতে ওঠার পরই ব্যারিস্টার মইনুল বাসায় ফোন করে তাকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানান।
এদিকে, ব্যারিস্টার মইনুল গতরাতে উত্তরায় আ স ম আবদুর রবের বাসায় বৈঠক করতে যান। আটকের আগে ডিবি পুলিশের একটি টিম তার সঙ্গে দেখা করে। তার গতিবিধি লক্ষ্য করছিলেন গোয়েন্দারা। একজন পুলিশ সুপার মর্যাদার কর্মকর্তা এর নেতৃত্ব দেন।
তাছাড়া সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি কোন তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মিটিংয়ে জামায়াতের প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন বলে যে মন্তব্য করেছেন তা জাতির সামনে তুলে ধরতে তাকে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
গতকাল আইনজীবী সমাজের পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এসএম জুলফিকার আলী জুনু রেজিস্ট্রি ডাকযোগে মাসুদা ভাট্টিকে এ নোটিশ পাঠান। পাশাপাশি নোটিশের জবাব না পাওয়া গেলে মাসুদা ভাট্টির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে ডিএমপি পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ওই উকিল নোটিশে মাসুদা ভাট্টিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।