নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশির সময় সোহেল রানা (২১) নামে পুলিশের এক কনস্টেবলকে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর অবস্থায় সোহেল রানাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পাগলা মুন্সিখোলা এলাকায় পুলিশ চেকপোস্টে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সোহেল রানা জেলা পুলিশ লাইনস এ কর্মরত আছেন। তার কনস্টেবল নং- ১৩৫৯। গত চার পাঁচ বছর আগে তিনি পুলিশের চাকরিতে যোগদান করেছিলেন।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মঞ্জুর কাদের জানান, দুপুর ১২টার দিকে মুন্সিখোলা চেকপোস্টে সোহেল রানাসহ দুই কনস্টেবল ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জগামী বোরাক পরিবহনের একটি বাসে ওঠে তল্লাশি করছিলেন। এসময় এক যাত্রীকে সন্ত্রাসী হিসেবে তাদের সন্দেহ হয়। তাকে তল্লাশি করতে গেলে যাত্রীবেশী ওই দুর্বৃত্ত অস্ত্র বের করে গুলি করার চেষ্টা করে।
এসময় কনস্টেবল সোহেল রানা তার অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ারা চেষ্টা করলে দুইজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে ওই দুর্বৃত্ত সোহেল রানার পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে বাসটির জানালা দিয়ে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় বাসের বাইরে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়ে।
ওসি আরো জানান, ঘটনার পরপরই তিনটি মোটরবাইকে করে আরও তিনজন এসে ওই দুর্বৃত্তকে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ সোহেল রানাকে নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে ৩শ’ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চেকপোস্টের দায়িত্বে থাকা সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোর্শেদ জানান, ওই সময় আমার কাছে অস্ত্র ছিল না বলে আমরা তাৎক্ষনিকভাবে তাদের ধাওয়া করে ধরতে পারিনি। তিনজন যুবক ছিল, ধারণা করছি তাদের সকলের কাছেই অস্ত্র ছিল।
তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসীরা বাস থেকে নেমেও কয়েক রাউন্ড গুলি করে আতংক সৃষ্টি করে। তাদেরকে লক্ষ্য করে আমাদের কনস্টেবলরা তিন রাউন্ড শটগানের গুলি করেছে।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, ধারণা করা হচ্ছে যাত্রীবেশী ওই দুর্বৃত্তের সঙ্গে আগে থেকেই আরো কয়েকজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ওৎ পেতে ছিল। সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশের অভিযান চলছে।