রাজশাহীর পর এবার নওগাঁয় ভয়ংকর বিষধর সাপ রাসেল ভাইপারের দেখা মিলছে। নওগাঁর সাপাহার উপজেলার একটি ধানখেত থেকে বিষধর এ রাসেল ভাইপার সাপকে আটক করেছেন এক কৃষক।
উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জবই বিল ও আশড়ন্দ বাজার এলাকার মধ্যবর্তী স্থানের একটি ধানখেত থেকে শুক্রবার রাতে চার ফুট দৈর্ঘ্যের রাসেল ভাইপার সাপকে আটক করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আশড়ন্দ গ্রামের এক কৃষক ধানখেতে সেচ কাজের জন্য গেলে সাপটি দেখতে পান। অপরিচিত মনে হওয়ায় সাপটিকে আটক করেন কৃষক। পরে জবই বিল জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিটির সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়। এরপর তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে সাপটিকে বস্তা দিয়ে ধরে একটি মাটির কলসিতে রাখেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী জেলা পরিষদের কার্যালয়েই দেখা মিলে ভয়ঙ্কর বিষধর এই সাপ। পরিষদের কর্মচারীরা ভয়ে সাপটি মেরে ফেলেছেন।
রাসেল ভাইপার সাপটি এখন বিলুপ্ত প্রজাতির। ধানখেতে এই সাপের আনাগোনা ছিল বেশি। ২০-২৫ বছর পরে বিলুপ্তপ্রায় এই সাপ বরেন্দ্র অঞ্চলে দেখা যাচ্ছে। বরেন্দ্র অঞ্চলের বেশ কয়েকজন কৃষকের প্রাণ নিয়েছে রাসেল ভাইপার। এই সাপ খুবই বিষাক্ত হওয়ায় কামড় দিলে অধিকাংশ মানুষই মারা যায়। এর আগে এই সাপের কামড়ে অসুস্থ তিনজনের হাত-পা কেটে ফেলেও বাঁচানো যায়নি। তবে কেউ বাঁচলেও দংশিত স্থানে পচন ধরে যায়।
এ ব্যাপারে জবই বিল জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি সোহানুর রহমান বলেন, সাপটি ধরার পর গতকাল রাতেই সাপের ছবি তুলে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের পরিচালক মোল্লা রেজাউল করিমের কাছে পাঠানো হয়। তিনি সাপটিকে বিষাক্ত রাসেল ভাইপার বলে নিশ্চিত করেছেন। এই সাপ কাউকে কামড় দিলে মৃত্যু নিশ্চিত।