Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ শনিবার, মে ২০২৫ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৩৭ AM
আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ১০:৩৭ AM

bdmorning Image Preview


মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকা প্রিয়াঙ্কা দাস তার প্রেমিক সজল দাসের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের বৃন্দাবনপুর গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃন্দাবনপুর গ্রামের নীলমনি দাসের ছেলে সজল দাসের সঙ্গে বৈরাগীর চক গ্রামের প্রদীপ দাসের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা দাসের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেম ছিল। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ায় শারীরিক সম্পর্কে। প্রিয়াঙ্কার অগোচরে মুঠোফোনে ধারণ করা হয় দু’জনের একান্ত মুহূর্তের বেশ কিছু ছবি। ধারণ করা ছবিগুলো সজল তার বন্ধুদেরও দেখান। এসবের পরে সজল প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ে করতে রাজি হননি। এ নিয়ে গ্রামে সালিশ বৈঠকও হয় দু’বার। কিন্তু কোনো সমাধান না হওয়ায় প্রেমিকা প্রিয়াঙ্কা  বাধ্য হয়েই স্ত্রীর অধিকারের দাবি নিয়ে সজলের বাড়িতে অবস্থান নেন- এমনটাই দাবি করেন প্রিয়াঙ্কা দাস।

এবিষয় প্রিয়াঙ্কা অভিযোগ করে বলেন, সজলের বাড়িতে যাওয়ার পর তার পরিবারের সদস্যরা প্রিয়াঙ্কাকে মারধর করেন। শনিবারও তাকে মারধর করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।

প্রিয়াঙ্কা জানান, ৮ম শ্রেণিতে পড়ার সময় সজলের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্প্রতি সজল ওমান থেকে দেশে ফিরে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে দেখা করে। প্রিয়াঙ্কাকে চাপ দিয়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও শারীরিক সর্ম্পক গড়ে তুলে। মুঠোফোনে গোপনে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করে। ধারণ করা ছবি সজল লোকজনদের দেখায়।

স্থানীয় সূত্রে থেকে জানা যায়, পতনউষার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী তওফিক আহমদ, সাবেক চেয়ারম্যান সেলিম আহমদ চৌধুরী ও স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে এ নিয়ে দু’দফা সালিশ বৈঠক হয়। প্রথম দফা সালিশ বৈঠকে প্রিয়াঙ্কার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

প্রিয়াঙ্কার বাবা প্রদীপ দাসের অভিযোগ, প্রতারণা করে সজল তার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। ছবি গোপনে ধারণ করে গ্রামে সজলের সমবয়সীদের দেখানো হয়েছে। এখন প্রিয়াঙ্কা গ্রামে মুখ দেখাতে পারছে না। তিনি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

এব্যাপারে ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সেলিম আহমদ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার তওফিক আহমেদ বাবু ও এলাকার মুরুব্বীদের নিয়ে বৃন্দাবনপুর গ্রামের সুধীর দাসের বাড়িতে সালিশ বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে দু'জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। এ ছাড়া সজলের মোবাইল ফোনে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি পাওয়া যায়। বিষয়টির সামাজিকভাবে সমাধানের জন্য ওই বৈঠকে আরেকটি তারিখ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই তারিখে সজল উপস্থিত হয়নি।

সজলের বাবা নীলমনি দাসের অভিযোগ করে বলেন, ‘এলাকার কিছু মানুষ জোর করে মেয়েটিকে আমার বাড়িতে তুলে দিয়েছে। সজল কয়েকদিন ধরে বাড়িতে নেই। কোথায় গেছে তাও আমি জানি না।’

এছাড়া প্রিয়াঙ্কাকে মারধরের অভিযোগটি নীলমনি দাস অস্বীকার করেন।

Bootstrap Image Preview