শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, দেশের বাস্তবতা এবং জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন ফি নির্ধারণ করতে হবে। সকল প্রকার ব্যয় একটি সীমা পর্যন্ত নির্ধারিত রাখার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা বেসরকারি ইউনিভার্সিটিগুলোর দায়িত্ব-কর্তব্য।
আজকের শিক্ষার্থীরাই সমৃদ্ধ আগামীর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করবে।
তিনি বলেন, বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তথ্য-প্রযুক্তির মহাসড়কে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে তরুণদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশ্বায়নের এই যুগে আধুনিক জ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং দক্ষ মানবসম্পদ অপার সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে। দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আজ ঢাকায় বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে উত্তরা ইউনিভার্সিটির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন। উত্তরা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. আজিজুর রহমান, বোর্ড অব স্ট্রাস্টিজ'র চেয়ারম্যান মো. বদরুল ইকবাল এবং উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
নতুন গ্রাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অর্জিত শিক্ষা ও জ্ঞান এখন বাস্তব কর্মজীবনে প্রয়োগ করতে হবে। জ্ঞান ও মেধার প্রয়োগে সৃজনশীলতা ও উদ্যোগ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও নতুন জ্ঞান অনুসন্ধান করতে হবে। নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সৃষ্ট জ্ঞান আমাদের জাতির মৌলিক ও বিশেষ সমস্যাগুলোর সমাধান দিতে পারে। বিষয় বাছাই, শিক্ষাক্রম উন্নয়ন, শিক্ষাদানের পদ্ধতি অব্যাহতভাবে উন্নত ও যুগোপযোগী করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞানচর্চা এবং সৃজনশীল ও গবেষণা কর্মকান্ড দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এক্ষেত্রে উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা কাজে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করে দেশে বিদেশে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আন্তর্জাতিক সম্মেলন, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ইত্যাদির আয়োজন করে আসছে যা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক।