জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৭ বছর জেল দিয়েছে এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। পাঁচ থেকে সাঁজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।
এ সময় আরও তিন আসামিকে শাস্তি দেওয়া হয়। তারা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, তৎকালীন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান এবং হারিস চৌধুরীর একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না।
কারা সূত্রে জানা যায়, উভয় আদালতের রায় ঘোষণার পরপরই কারা কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়াকে তা জানায়। রায়ের খবর শুনে কারাবন্দী খালেদা শুধু হেসেছেন, কোনও মন্তব্য করেননি।
এ দিকে রায়ের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই রায় দেওয়া হয়েছে। খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখাই সরকারের উদ্দেশ্য।
এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা বাতিল না হলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রায়ের পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণে খালেদা জিয়া মুখ্য আসামি হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন, এ জন্যই উনার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। সাজা বাতিল না হলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না।