কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতি বিল জাতীয় সংসদে পাস করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দিচ্ছে আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ।
আজ রবিবার সকাল ১১টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই শোকরানা মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপলক্ষে ভোর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হয়েছেন হাজার হাজার আলেম ওলামা। এখন তারা প্রধানমন্ত্রীর জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন।
সকাল থেকে মাহফিল সফল করতে দলে দলে যোগ দেয় কওমি শিক্ষার্থী-আলেম ওলামারা। ভোর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দেশে যাত্রা করেন তারা।
এদিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর চারপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও এপিবিএনের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। শাহবাগ ও টিএসসি মোড়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের সাঁজোয়া যান। ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
শাহবাগ, মৎস্যভবন, হাইকোর্টের সামনের এলাকা, দোয়েল চত্ত্বর, টিএসসি থেকে সোহরাওয়র্দী উদ্যানের প্রতিটি প্রবেশ পথে সতর্ক অবস্থা দেখা গেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের। এ ছাড়া প্রতিটি প্রবেশপথে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে। মেটাল ডিটেক্টর ও হাতে তল্লাশীর মধ্য দিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানের কারণে রাজধানীর শাহবাগ মোড়, মৎসভবন, দোয়েল চত্বর এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে সবধরনের যানবাহন প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে ভেতরে সীমিত আকারে যানচলাচল করছে।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, জনসভায় বিপুল জনসমাগমের কথা মাথায় রেখে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে।
সকাল ১০টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে ‘শোকরানা মাহফিল’। সকাল ১১টায় মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। মাহফিলের সভাপতিত্ব করবেন হেফাজত ইসলামের আমীর ও হাইয়াতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির স্বীকৃতি দিয়ে সংসদে আইন পাস হয়। এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনার জন্য শুকরানা মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।