জিম্বাবুয়ের বোলারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারছে না বাংলাদেশ। এর মধ্যেই টপ অর্ডারে পাঁচ ব্যাটসম্যান হারিয়ে ফলো অলের শঙ্কায় পড়েছে তারা। পঞ্চম উইকেট হিসেবে প্যাভিলনে ফিরে গেছেন মমিনুল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে ২৮২-১০
বাংলাদেশ ৬৫-৫। ২২ ওভার
ক্রিজে আছেন: আরিফুল (৬) ও মুশফিক (২২)।
এবার ফিরলেন মমিনুল: ১৯ রানে তিন উইকেট হারানোর পর ক্রিজে ইনিংস মেরামতের দায়িত্বে এসেছিলেন মুশফিকুর রহিম। মমিনুলকে নিয়ে চাপ সামলানোর চেষ্টা করেন তিনি। এই দুই ব্যাটসম্যান গড়ে তোলেন ৩০ রানের জুটি। কিন্তু এর পরেই জিম্বাবুয়েকে উইকেট এনে দিলেন সিকান্দার রাজা। তার অসাধারনে একটি বলে স্লিপে মাসাকাদজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন মমিনুল। উইকেট ছাড়ার আগে ১৮ বল থেকে ১১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
দলীয় ১৯ রানে হারালো তিন উইকেট: এশিয়া কাপে ওয়ানডে সিরিজের পর টানা ব্যর্থতা পিছু ছাড়াছে না শান্তর।দলীয় ১৪ রানে লিটনের বিদায়ের পর ক্রিজে নেমে ভাগ্যের জোরে স্লিপ দিয়ে চারটি রান পান শান্ত। যা দলীয় স্কোরকে নিয়ে যায় ১৮ রানে।এরপর তিনি ওভারের শেষ বলে একটি সিঙ্গেল নিয়ে দলীয় ১৯ রানে আবারো স্টাইককে যান শান্ত। এসময় চাতারার বলে অফ স্টামপের বাইরের বল মারতে গিয়ে স্পিপে বলা জমা দিয়ে যান তিনি। ৫ বল থেকে ৫ রান করেন তিনি। এর আগে অভিষেক টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ইনিংসে ১৮ ও১২ রান করেছিলেন তিনি।
শান্তর ১৯ রানে শান্তর বিদায়ের পরে ব্যাট করতে আসেন মাহমুদুল্লাহ।কিন্তু তাকেও একই ওভারে বিদায় করলেন চাতারা। দলীয় ১৯ রানেই ব্যটের কিনারায় বলে লেগে স্টাম্পে লাগলে ০ রানে বিদায় নিতে হয় মাহমুদু্ল্লাহকে।
লিটনও পারলেন না: দলীয় ৮ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে ঘূড়ে দাড়ানোর চেষ্ঠায় থাকা বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ধাক্কা দিলো কাইল জার্ভিস। দলীয় ১৪ রান অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাটের কিনারা লেগে ২৫ বল থেকে ৯ রান করা লিটকে ফেরালেন তিনি।
শুরুতেই ফিরলেন কায়েস: লাঞ্চের পর বিনা উইকেটে ২ রান ব্যাটিং নামেন কায়েস ও লিটন। ওয়ানডে এই দুই ওপেনার ভালো ওপেনিং জুটি এনে দিতে পারলেও টেস্টে ব্যর্থ হলেন। দলীয় ৮ রানে টেন্ডাই চাতারান বলে বোল্ড হয়ে ১৩ বল থেকে ৫ রান ফিরে গেছেন কায়েস।
আজ দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ৫ উইকেটে ২৩৬ রান নিয়ে ব্যাটিং শুরু করে জিম্বাবুয়ে। ক্রিজে ৩৭ রানে মুর ও চাকাভা ২০ রান নিয়ে দিনের শুরুটা ভালোই করেছিলেন। এই দুই ব্যাটসম্যান আজ নিজেদের জুটিটাকে অর্ধশত রানে নিয়ে যান। যা জিম্বাবুয়েকে ভালো কিছুই ইঙ্গিত দিচ্ছিল।
দলীয় ২৬১ রানের সময় প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তাইজুল। চাকাভাকে ২৮ রান থামান তিনি। এতে মুর ও চাকাভার ৫৯ রান জুটির সমাপ্তি ঘটে। এরপর আর ঘুড়ে দাড়াতে পারেনি তারা। ২১ রানে হারায় শেষ ৪টি উইকেট। ২৮২ রানে শেষ দুটি উইকেট নেন তাইজুল। আজ জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করেছে ২৬.৩ বল।
এর আগে শনিবার টেস্টের প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ের সিংহভাগ রান এসেছিল শেন উইলিয়াম ও মাসাকাদজার ব্যাট থেকে। উইলিয়াম করেছিলেন ৮৮ রান আর মাসাকাদজা করেছিলেন ৫২ রান।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল ৬টি, ছাড়াও অপু ২টি উইকেট নিয়েছেন। আবু জায়েদ-মাহমুদুল্লাহ ১টি করে উইকেট নেন।