প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সামনে নির্বাচন, আমার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যদি খেদমতের সুযোগ দেন তাহলে আবারও আসবো। না হলে আফসোস নেই।’
‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে আয়োজিত শুকরানা মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রবিবার সকাল ১০টা ৪৮ মিনিটে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্রেস্ট উপহার দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বাবার কাছে শিখেছি, আল্লাহ ছাড়া কারও কাছে মাথা নত করি না। আল্লাহকে মানি, ধর্মকে বিশ্বাস করি। বারবার আমার ওপর আঘাত এসেছে। আল্লাহই রক্ষা করেছেন। আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাই না। মরা-বাঁচা আল্লাহর হাতে। যেদিন তিনি নিয়ে যাবেন সেদিন কেউ ঠেকাতে পারবে না। তবে এটুকু চাই যে, আল্লাহর রহমতে যেন মান-সম্মান নিয়ে যেতে পারি।’
ওলামা-মাশায়েখদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা এতিমদের আশ্রয় দিয়েছেন, তাদের শিক্ষিত করছেন, মানুষ করছেন। এর চেয়ে ভালো কাজ আর হতে পারে না। আমরা সনদ দিয়ে তাদের স্বীকৃতি দিয়েছি। এখন তারা বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে চাকরি করে খেতে পারবে। এজন্য আইন পাস করেছি। পরবর্তীতে কেউ যেন এসে সেটা বন্ধ করতে না পারে। আমরা মসজিদের ইমামদের ভাতা দিচ্ছি। বাংলাদেশের ৮০ হাজার আলেম-ওলামা ভাতা পাচ্ছেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ হচ্ছে। এসব মসজিদে ইসলামী কালচারের ব্যবস্থা থাকবে। এখানেও অনেক আলেম-ওলামার কর্মসংস্থান হবে।’
‘আমি হযরত মোহাম্মদ (স.) এর পথ অনুসরণ করি। আল্লাহর যা কিছু সৃষ্টি, আল্লাহর নবী যে শিক্ষা দিয়েছেন সেই শিক্ষা নিয়ে পথ চলি এবং চলবো। কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়, সকলের প্রতি রইলো আমার শুভ কামনা।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে কোনো সন্ত্রাসী, জাঙ্গি ও দুর্নীতিবাজের স্থান হবে না। সবাই ভালো থাকবে, সেভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশে কোনো ভিক্ষুক থাকবে না। যারা কাজ করতে পারবে না তাদের ভাতার ব্যবস্থা করবো।’