চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ২০১০ সালের ২৩ নভেম্বর বিকালে কাশরইল গ্রামের একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় পূর্বশত্রুতার জের ধরে আসামিরা তাকে গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আব্দুল জব্বার বাদী হয়ে গোমস্তাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার রায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শওকত আলী এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে চারজন উপস্থিত থাকলেও বাকি দুজন পলাতক রয়েছেন।
একই সঙ্গে আদালত তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। আসামিদের মধ্যে মধ্যে বুধুয়া ও সমর পলাতক রয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হচ্ছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার কাশরইল গ্রামের সমর উরাওয়ের ছেলে নিরঞ্জন উরাও (২২)। তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন একই গ্রামের সমর উরাওয়ের ছেলে গণেশ উরাও (২২), রুবিয়া উরাওয়ের ছেলে দশরত উরাও (২২), রাইয়া উরাওয়ের ছেলে সমর উরাও (৪০) ও সাবানু উরাও (২৬), বিশ্বনাথ উরাওয়ের ছেলে বুধুয়া উরাও (২৪)।
তদন্তের পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোমস্তাপুর থানার এসআই বনি ইসরাইল ২০১১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও যুক্তিতর্ক শেষে আদালত সোমবার আলোচিত এই হত্যা মামলার রায় প্রদান করেন।