কেবল একটি জোট বা দলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তফসিল পেছানো হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। নির্বাচনে সীমিত পরিসরে ইভিএম ব্যবহার করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, এ খন পর্যন্ত তফসিল পেছানোর সুযোগ নেই। ৭ তারিখে (নভেম্বর) বিষয়টি আমরা আমলে নেবো। তবে সকল রাজনৈতিক দল একমত হলে সেক্ষেত্রে সংবিধানের মধ্যে থেকে তফসিল পেছানো যেতে পারে।
কে এম নূরুল হুদা বলেন, সব রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে এবং সংবিধানের আলোকে নির্বাচন করতে হবে। তবে তফসিল ঘোষণার ক্ষেত্রে ৭ নভেম্বরের সংলাপের ফলাফলও প্রভাব ফেলতে পারে। সেক্ষেত্রে জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন প্রোগ্রাম রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমা রয়েছে জানুয়ারি মাসে– ১৫ থেকে ২৬ তারিখ দুই দফায় ইজতেমা হবে। তখন সেখানে সারা দেশ থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজনকে নিয়োগ করতে হয়। তাই এর মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না।’
সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিকস ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, এবার স্বল্পপরিসরে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
গত ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনার শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, আগামী ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হবে।
তবে ৫ নভেম্বর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে, তফসিল স্থগিত রাখার কিংবা সংলাপের ফলাফল জেনে তফসিল ঘোষণা করার।
৭ নভেম্বর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আবার সংলাপে বসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর আর কোনো সংলাপ হবে না এবং সংলাপের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে আসবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তফসিল দিয়ে ৪৫ দিনের কাছাকাছি অর্থাৎ ২০ ডিসেম্বর কাছাকাছি দিনে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সংবিধান অনুয়ায়ী, আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশনের ভোটগ্রহণে বাধ্যবাধকতা রয়েছে।