বরিশাল প্রতিনিধি:
প্রয়াত প্রিয়জনের আত্মার শান্তি কামনা করে সমাধীর পাশে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিপাবলী উৎসব পালন করা হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন কালি পূঁজার আগের দিন ভূত চতুর্দশী তিথিতে পূজা অর্চনা করলে প্রয়াত ব্যক্তির আত্মা শান্তি লাভ করে।
এদিন সমাধীর পাশে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করে থাকেন স্বজনরা। পাশাপাশি প্রয়াত প্রিয়জনের উদ্দেশ্যে তার সমাধিস্থলে নিবেদন করা হয় প্রয়াতের পছন্দের নানা ধরনের খাবার।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বরিশালে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় শ্মশান দিপাবলী উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবকে ঘিরে গত কয়েক দিন ধরে নগরীর কাউনিয়া মহাশ্মশানে প্রয়াতদের সমাধি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং রঙের কাজ করছেন তাদের স্বজনরা। সবকিছু করা হয় তিথি থাকা অবস্থায়।
বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সভাপতি মানিক মুখার্জী কুডু জানান, জনশ্রুতি রয়েছে এশিয়া মহাদেশ তথা পৃথিবীর বৃহত্তম আয়োজন এটি। ভারতে এটি দীপাবলি উৎসব নামে পরিচিত হলেও বরিশালে শশ্মান দীপাবলি উৎসব হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। এই মহাশ্মশানে নতুন পুরনো মিলিয়ে ৬১ হাজারেরও বেশি সমাধি রয়েছে। এর মধ্যে ৫০ হাজারের অধিক পাকা, ১০ হাজার কাঁচা মঠ এবং ৮শ' মঠ রয়েছে যাদের স্বজন এই দেশে নেই। তবে স্বজন না থাকা মঠগুলোতেও কমিটির পক্ষ থেকে মোমবাতি জ্বালানো হবে বলে তিনি জানান।
বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকার জানান, শশ্মান দিপাবলী উৎসব উদযাপনে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে লগ্ন (তিথি) শুরু হয়েছে। শেষ হবে আজ মঙ্গলবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে। তিথি শুরু হলেও প্রয়াতদের স্বজনদের সমাগম শুরু হবে বলে আশা করেন তিনি।
শশ্মান দিপাবলী উৎসব নির্বিঘ্ন করতে মহাশ্মশানের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে ১২টি সিসি ক্যামেরা এবং নিয়োগ করা হয়েছে ২০০ স্বেচ্চাসেবী শশ্মান এলাকায় শতাধিক পুলিশ সদস্য দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে বলে জানান বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন।