আসন্ন জাতীয় সংসদ তফসিলকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
বুধবার আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। এর আগে দুই দফা সংলাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছে বিভিন্ন দাবি দাওয়া আদায় না হওয়ায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের রোড মার্চ ঘোষণার পর একথা বলেন তিনি।
ইসি সচিব বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় নির্দেশনা দেব। ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচি অবহিত না হলেও কেউ যদি তফসিল ঘোষণায় বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা এখনও অবহিত নই (কর্মসূচির বিষয়ে)। যখন জানব তখন আলোচনা করবো। তফসিল ঘোষণার পরই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও ইসির অধীনে থাকবে। তখন এ ধরনের কোনো পরিস্থিতি হলে (পরিস্থিতি মোকাবেলায়) আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
ইসি সচিব বলেন, ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণায় আমাদের পূর্ব সিদ্ধান্তে অটল থাকতে বলেছে আওয়ামী লীগ। বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানের বিতর্কিত কর্মকর্তাদের যেন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া না হয় এ বিষয়টিও তারা আমাদের জানিয়েছে।
তিনি বলেন, ইসি যেন সংবিধান ও আইন মেনে কাজ করতে পারে, সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা আচরণ বিধিমালা মেনেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে নাগরিক ঐক্যের ‘বাকবিতণ্ডা’কে কেন্দ্র করে অনিবন্ধিত দলের সঙ্গে সংলাপ না করার পরামর্শ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আজকের পর থেকে কমিশন যাতে কারও সঙ্গে নতুন করে সংলাপে বসা না হয় সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার ব্যাপারে আমাদের শতভাগ প্রস্তুতি রয়েছে। সব দল অংশ নেবে আশা ইসির এবং সব দলের জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ক্ষমতায় থেকেই নির্বাচন করবে- সেক্ষেত্রে কোনো প্রভাব সৃষ্টি করবেন কি না- জানতে চাই ইসি সচিব বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে আমাদের নিশ্চিত করা হয়েছে তাদের যারা প্রার্থী হবেন তারা আচারণবিধি মেনে প্রচারণা চালাবেন। সব রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশ নেবে বলেও মনে করেন নির্বাচন কমিশন সচিব।