আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নির্ধারণ নিয়ে বৈঠকে বসেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে বৈঠকের শেষে কোনো কথাই বলেননি নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার!
জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশন এর আগে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে দু'টি কমিশন বৈঠকে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, অন্যদের বক্তব্য না শুনে সভা বর্জন করেন। বর্জনের পর সংবাদ সম্মেলনও করেন তিনি।
তবে ভোটের তারিখ নির্ধারণে বৃহস্পতিবারের বৈঠক বর্জন করেননি মাহবুব তালুকদার। বৈঠক শেষে তার কক্ষেই প্রবেশ করেন। এসময় সাংবাদিকরা দফায় দফায় চেষ্টা করলেও কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
কমিশনার তালুকদারের আগে দলগুলোর দাবি বাস্তবায়নের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বৈঠক বর্জন করেছিলেন।
তফসিল চূড়ান্ত তথা ভোটের তারিখ নির্ধারণে সিইসিসহ পাঁচ নির্বাচন কমিশনার সকাল ১০টার আগেই নির্বাচন ভবনে পৌঁছান। বেলা ১১টার দিকে সিইসির কক্ষে বৈঠকে বসে কমিশন ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সকালে মাহবুব তালুকদারকে ফুরফুরে মেজাজে দেখা যায়। বৈঠকে বসার আগে নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে হাস্যরস করেন তিনি। সে সময় নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলামও ছিলেন।
সূত্রগুলো জানায়, মাহবুব তালুকদার মনে করেন নির্বাচন তড়িঘড়ি করে সম্পন্ন করা হচ্ছে। তার মতে এখনো অনেক বিষয় মীমাংসিত নয়।
ঐক্যফ্রন্টসহ কয়েকটি দল তফসিল পেছানোর পক্ষে। তবে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ বেশ কিছু দল বৃহস্পতিবারই (৮ নভেম্বর) তফসিল দিয়ে ডিসেম্বরেই নির্বাচন করতে চায়। সন্ধ্যা ৭টায় জাতীর উদ্দ্যেশে ভাষণে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন।