Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ৩০ বুধবার, এপ্রিল ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

পল্টনে বিএনপির আন্দোলনকারী সেই সোহাগ 'গ্রেফতার'

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:০৯ PM
আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৭:২৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের গাড়ির ওপর দাঁড়িয়ে উল্লাস করা সেই সোহাগকে আটক করেছে পুলিশ। সংঘর্ষের সময় সোহাগ পুলিশের সামনে বুক খুলে দিয়ে ‘এসো গুলি করে মারো’ চিৎকার করছিল।

সোহাগ ভুইয়া শাহজাহানপুর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।

জানা গেছে, সোহাগকে ধরতে তার বোন সেলিনাকে আটক করা হয়। পরে সোহাগকে আটকের পর তার বোনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সোহাগের বাবা জানিয়েছেন, তার ছেলে সোহাগকে আটকের পর ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

তবে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে ডিবির ডিসি (পূর্ব) খন্দকার নুরুন্নবী বলেন, গত ১৪ নভেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশ এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেখানে সোহাগকে জিন্সপ্যান্ট পরা, কালো শার্টের বোতাম খোলা ও সাদা হেলমেট পরা অবস্থায় পুলিশের একটি গাড়ির ওপর দাঁড়িয়ে উল্লাস করছিল। এরপর থেকে পুলিশ তাকে খুঁজছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।

ডিএমপির মতিঝিল জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মিশু বিশ্বাস জানান, ভিডিও ফুটেজ দেখে আমরা হামলাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছি। এর মধ্যে সোহাগ অন্যতম। ঘটনার দিন সোহাগ গ্যাবডিং প্যান্ট ও পাতা কালালের শার্টের বোতাম খোলা অবস্থায় লাঠি হাতে হামলা ও ভাংচুরে অংশ নেয়। এরপর থেকে পুলিশ তাকে খুঁজছিল। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার বিএনপির মনোনয়ন ফরম নিতে আসা নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন দেয়ার ছবি আসে। আর একটি গাড়িতে আগুন দেয়ার সময় যে যুবকের ছবি আসে, তিনি পল্টন থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহজালাল খন্দকার (কবির)।

যদিও তাৎক্ষণিকভাবে এবং পরদিনও বিএনপি দাবি করেছিল, আগুন দেয়া যুবক এবং হেলমেটধারীরা তাদের দলের কোনো পর্যায়ের সদস্য নন। তারা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সদস্য।

কিন্তু সেদিনের ঘটনার ভিডিও চিত্র এবং স্থিরচিত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পুলিশ জানায়, হামলাকারীদের সবাই বিএনপি এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মী।

Bootstrap Image Preview