Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ধুনটে বিদ্যালয়ের ৪ লাখ টাকার সম্পদ মাত্র ৯৪ হাজার টাকায় বিক্রি

রফিকুল আলম, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ 
প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:০৩ PM
আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:০৩ PM

bdmorning Image Preview


বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এমপিএসটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় ৪ লাখ টাকা মূল্যের ঘর ও গাছ দরপত্র ছাড়াই ৯৪ হাজার টাকায় বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের নামে স্থানীয় দুই ব্যবসায়ীর নিকট ১টি পুরাতন আধাপাকা ঘর ও ১২টি বনজ গাছ বিক্রি করেছে প্রধান শিক্ষক।

মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) ব্যবসায়ী শুকুর আলী ও আল মাহমুদ ঘরটি ভেঙে গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নে অবস্থিত মুলতানি পারভীন শাহজাহান তালুকদার (এমপিএসটি) উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে প্রায় ৮০ হাত দৈর্ঘ্য একটি আধাপাকা টিনের ঘর নির্মাণ করা হয়। সেই ঘরে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দেওয়া হতো। এছাড়া বিদ্যালয়ের মাঠের চারপাশে বিভিন্ন জাতের গাছ রোপন করা হয়েছে। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দরপত্র ছাড়াই শুকুর আলীর নিকট ঘরটি ৭৫ হাজার টাকা এবং আল মাহমুদের নিকট ১২টি গাছ ১৯ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে।

অথচ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, পুরাতন ওই ঘরের মূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা এবং ১২টি গাছের প্রকৃত মূল্য প্রায় ১ লাখ টাকা। অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের ঘরটি বিক্রি করায় শ্রেণিকক্ষ অভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠাদান ব্যবহত হচ্ছে। এছাড়া গাছগুলো কর্তন করায় বিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফছার আলী বলেন, বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য একটি পুরাতন আধাপাকা ঘর ও ১২টি গাছ ৯৩ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেজুলেশন করে এগুলো বিক্রি করা হয়েছে। এ বিষয়ে দরপত্র আহবান কিংবা প্রশাসনের নিকট থেকে কোন প্রকার অনুমতি নেওয়া হয়নি। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম জিন্নাহ বলেন, বিদ্যালয়ের পুরাতন ঘর ও গাছ কর্তনের কথা শুনেছি। নিয়ম না মেনে এগুলো করে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, দরপত্র ছাড়া বিদ্যালয়ের মূল্যবান কোন সম্পদ বিক্রয় করার বিধান নেই। এমপিএসটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ ধরনের কাজ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলা হয়েছে। 


 

Bootstrap Image Preview