দুই প্রধান দলের যেসব প্রার্থী ভোটে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হতে পারবেন না।
এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি তার আট শতাধিক নেতাকে মনোনয়ন চিঠি দিয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগও ২৫২ আসনে চিঠি দিয়েছে ২৬৬ জনকে।
দুই দলই বলছে, ৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার আগেই প্রতি আসনে একজন করে প্রার্থী রেখে বাকিদের প্রত্যাহার করিয়ে নেবেন। এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে, দল চাইলেই মনোনয়নবঞ্চিতরা বাকিরা উঠে যাবেন কি না। চূড়ান্ত মনোনয়ন না পেলে অন্যরা মানবেন কেন। গণপ্রতিনিধিত্ব আধ্যাদেশ (আরপিও) আইন অনুযায়ী, দলের মনোনয়নের চিঠি নিয়ে যারা প্রার্থীতা জমা দিয়েছেন, তাদের দলের ইচ্ছার বাইরে প্রার্থী থাকার সুযোগ নেই।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইন- আরপিও অনুযায়ী দলীয় পরিচয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে যদি কেউ প্রতীক বরাদ্দের চিঠি না পান তবে তাদের প্রার্থীতা এমনিতেই বাতিল হয়ে যাবে। কারণ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তিনি কোন দলের প্রার্থী তা উল্লেখ করেই জমা দিয়েছে। আর যেদিন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন সেদিনই দলগুলো জানিয়ে দেবে কে তাদের দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবেন। ফলে বাকিরা এমনিতেই বাদ পড়ে যাবেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দল থেকে মনোনয়নের চিঠি পাওয়া কেউ বিদ্রোহ বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবে না। এই বিধানটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা হয়েছে। এতে দলে শৃঙ্খলা থাকে।
বিধান অনুযায়ী কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হতে চাইলে তাকে আগেই সেটি জানিয়ে দিতে হয়েছে। আর আগে সংসদ সদস্য নির্বাচিত না হলে তাকে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে হয়েছে। আর এই স্বাক্ষরও যাচাই করা হবে। কোন একটি স্বাক্ষর জাল পাওয়া গেলেই মনোনয়নপত্র বাতিল করা হবে। একাধিক নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে তার পক্ষে জমা দেয়া সই জাল প্রমাণ হওয়ার পর।