তারুণ্যের ইশতেহার সকল রাজনৈতিক দলের কাছে হস্তান্তরের জন্য বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রতিনিধি রাজনৈতিক দলগুলোর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাচ্ছেন একের পর এক। প্রতিনিধি দলের সকলেই বহুল আলোচিত কোটা আন্দোলনের নেতা। সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টার সময় শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা ঐক্যফ্রন্ট কার্যালয়ে গিয়ে ইশতেহার দেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ‘তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা ২০১৮’ ঘোষণা করেছে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।’ সোমবার ৩রা ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনের সামনে ৪৫ দফা দাবি সম্বলিত ‘তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা-২০১৮’ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার দুপুর পৌঁনে ২টায় কোটা আন্দোলনকারীর নেতা ও সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ফারুক হাসানের নেতৃত্বে ১৮সদস্যদের প্রতিনিধি দল নয়া পল্টনে যান। কার্যালয়ে তারা এখন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে বৈঠক করছেন।
ফারুক হাসান জানান, আমরা বিএনপি কার্যালয় থেকে ঐক্যফ্রন্ট কার্যালয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কাছে তারুন্যের ইসতেহার ভাবনা-২০১৮ আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর করেছি। তার আগে বিকাল ৩.২০ মিনিটে বিএনপি, ৪.২০ মিনিটে আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে গিয়ে সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাদের ইশতেহার দিয়ে আসেন।
কি আছে ছাত্রদের ইশতেহারে?
১। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কার আনতে হবে
২। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করতে হবে। সকলের জন্য অভিন্ন বিয়সসীমা করতে হবে
৩। চাকরিরর আবেদনের ফি সম্পূর্ণ ফ্রি করতে হবে।
৪। শিক্ষায় জিডিপির ৫ ভাগ বা জাতীয় বার্ষিক বাজেটের ২০ ভাগ বরাদ্দ দিতে হিবে
৫। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিতে হবে
৬। প্রশ্ন ফাঁস বিরোধী সেল গঠন করতে হবে
৭। বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধ করতে হবে
৮। প্রতিবছর ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে
৯। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট বাজেটের ১০ ভাগ গবেষণায় দিতে হবে। যার ৬ ভাব শিক্ষকদের জন্য এবং ৪ ভাগ হবে ছাত্রদের জন্য
১০। শিক্ষক নিয়োগে ৮০ ভাগ নম্বর লিখিত পরীক্ষায় এবং ২০ ভাগ নম্বর মৌখিক পরীক্ষায় রাখতে হবে।