বাংলাদেশের রেলওয়ে সেক্টরকে ব্রিটিশ রেলওয়ে সেক্টর নানাভাবে সহায়তা করবে বলে আশার বাণী শুনিয়েছেন দেশটির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ট্রেড কমিশনার ক্রিসপিন সিমন।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ সরকারের বাণিজ্য সংক্রান্ত একটি প্রতিনিধিদল পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সাথে তাঁর দপ্তরে সাক্ষাৎকালে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মঙ্গলবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এন ই সি সম্মেলন কক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশদের সাথে আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তারা আমাদের রেলওয়ে সেক্টরে সহায়তা করলে আরও উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।
মন্ত্রী তাকে জানান, বাংলাদেশের এখন জনমিতিক লভ্যাংশ কাল চলছে যা ২০৬১ সাল পর্যন্ত থাকবে। দেশের তরুণ-তরুণীদের বিভিন্ন ট্রেড প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে দক্ষ জনবল হিসেবে গড়ে তুলতে। এ লক্ষ্যে সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। বিনিয়োগ সহজতর ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে বিভিন্ন বাধাকে সরকার অপসারণ করে যাচ্ছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য বিষয়ক প্রতিনিধিকে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশের সর্বদিক চিত্র তুলে ধরেন।
ব্রিটিশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ট্রেড কমিশনার ক্রিসপিন সিমন। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার এলিসন ব্ল্যাক।
সাক্ষৎকালে দু'দেশের মধ্যেকার দীর্ঘদিনের বাণিজ্য সম্পর্কে তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের ব্যক্তি খাতের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সরকারের বাণিজ্যনীতি এবং বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে গৃহীত পরিকল্পনা বিষয়েও তিনি প্রশংসা করেন। নিয়মিত সাত শতাংশের উপর প্রবৃদ্ধি অর্জন করায় ক্রিসপিন সিমন পরিকল্পনা মন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
পরিকল্পনা মন্ত্রী, যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান।
তিনি শিক্ষা, রেল এবং বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাজ্যের ব্যক্তি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
ট্রেড কমিশনার পরিকল্পনা মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন যে তিনি ফিরে গিয়ে যুক্তরাজ্যের ব্যক্তিখাতকে বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথা জানাবেন এবং শিক্ষা, রেলওয়ে এবং বিদ্যুৎ খাতে। বিশেষ করে সোলার পাওয়ারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতার নিশ্চয়তা প্রদান করেন।