সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার পর এবার ওয়ানডে সিরিজ খেলতে মাঠে নেমেছে টাইগাররা। প্রথমে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিস।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ক্যারিবিয়ানদের সংগ্রহ ৪০ ওভারে ৬ উইকেটে ১২৯ রান।
রুবেলের প্রথম আঘাতঃ খেলায় তখন ৩৯ ওভারের চলছে । অন্যদিকে উইকেটের ক্ষুধায় জ্বলছে পেসার রুবেল হোসেন। অবশেষে তাঁর সেই ক্ষুধা মিটিয়ে দিলেন লিটন দাস। মিড অন থেকে স্যামুয়েলসের দুর্দান্ত ক্যাচ ধরে। এই সময় ক্যারিবিয়ানদের স্কোর ছিলো ৩৯ ওভারে ৬ উইকেটে ১২৮ রান।
পাওয়েলকে ফেরালেন মাশরাফিঃ নিজের ২০০তম ম্যাচ যেন স্মরণীয় করে রাখার জন্য শুরু থেকে বোলিংয়ে আগুন ঝরাতে থাকেন। যে আগুনের সামনে অসহায় হয়ে পড়ে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানরা। ৩৭তম ওভারে আবারো উইকেট নেন ম্যাশ। পাওয়েলকে লিটনের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করে তিনি। এই সময় ক্যারিবিয়ানদের স্কোর ছিলো ৫ উইকেটে ৩৬ ওভারে ১১৯ রান।
মিরাজের প্রথম উইকেটঃ মাশরাফির উইকেটের আনন্দ যখন গ্যালারিতে বইছে ঠিক তাঁর দুই ওভার পর হেটমায়ারকে বোল্ড আউট করেন মিরাজ। শক্তিশালী এই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই সময় তাদের স্কোর ছিলো ৪ উইকেটে ৯৪ রান ২৮ ওভার।
মাশরাফির দ্বিতীয় আঘাতঃ প্রথম উইকেট নিয়েই থেমে থাকেননি ক্যাপ্টেন ম্যাশ। একের পর এক আক্রম চালাতেই থাকেন। নিজের ৬ ওভারের মাথায় ওপেনিংয়ে নামা শাই হোপকে ক্যাচ আউট করে খেলার উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দেন। দুর্দান্ত এই ক্যাচটি পয়েন্ট থেকে ধরে মিরাজ।এই সময় ক্যারিয়ানদের স্কোর ছিলো ৩ উইকেটে ৭৮ রান।
মাশরাফির বলে তামিমের উড়ন্ত ক্যাচঃ আরিফুলের হাত থেকে ব্রাভো জীবন পেলেও তামিমের হাতে ঠিকই ধরা পড়লেন। মাশরাফির চতুর্থ ওভারে বড় শর্ট খেলতে গিয়ে ব্রাভো তামিমের কাছে ক্যাচ তোলেন। কিন্তু সেই ক্যাচ মোটেও সহজ ছিলো না। কিন্তু সুপার ম্যান তামিম উড়ে গিয়ে সেই ক্যাচ লুফে নেন। ক্যারিবিয়ানদের স্কোর ছিলো ২০ ওভারে ৬৫ রান।
সাকিবের ঘূর্ণিতে ভাঙল ওপেনিং জুটিঃদলে তিন পেসার থাকলেও শুরুতে মিরাজকে বোলিংয়ে পাঠান মাশরাফি। বল হাতে ওপেনিংয়ের শুরুটা ভালোই করেন মিরাজ। মাত্র ৩ রান দিয়ে ওভার শেষ করেন।
মিরাজের পরেই বোলিংয়ে আসেন সাকিব। মিরাজ টানা ছয় ওভার বল করে উইকেটের দেখা না পেলেও সাকিব নিজের চতুর্থ ওভারে পাওয়েলকে ক্যাচ আউটের ফাঁদে ফেলান। তখন ক্যারিবিয়ানদের স্কোর ছিলো ৮ ওভারে ২৯ রান।
প্রথম উইকেট হারিয়ে একটু চাপে ব্যাটিং করতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর মাঝে বোলিংও পরিবর্তন করেন ম্যাশ। স্পিন রেখে পেস অ্যাটাক শুরু করে। খেলার ১৫ ওভার ২ বলের মাথায় ব্রাভোর একটি সহজ ক্যাচ পয়েন্ট লাইন থেকে ফেলিয়ে দেন আরিফুল হক।
জিম্বাবুয়ে সিরিজ খেলা টাইগার দলের পাঁচ খেলোয়াড়কে একাদশের বাহিরে রাখা হয়েছে তারা হলেন, মোহাম্মদ মিথুন, নাজমুল ইসলাম অপু, সাইফউদ্দিন, আবু হায়দার রনি ও আরিফুল হক।
টাইগারদের একাদশঃ তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, রুবেল হোসেন,মোস্তাফিজুর রহমান,মেহেদী হাসান মিরাজ,লিটন দাস,ইমরুল কায়েস ও মাশরাফি বিন মর্তুজা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশঃ পাওয়েল, হোপ, ব্রাভো, স্যামুয়েলস, হেইমিয়ার, চেস, পাওয়েল, বিশু, পল, রোচ, থমাস