নিবাচন মানেই আমেজ, ভোটারের দারে দারে প্রাথীর সরব উপস্থিতি। ৩০ তারিখ একাদশ জাতীয় নিবাচন। কিশোরগঞ্জ-৬ এর মাঠ-ঘাট আর লোকালয়ে নৌকার স্লোগান সবত্র। তবে ধানের শীষের চিত্র ভিন্ন।
বিএনপির মনোনিত প্রার্থী শরিফুল আলম। নেতাকর্মীদের নিয়ে আদালতে প্রাঙ্গণে ছুটে চলেছেন, মামলার জামিনের জন্য। বিপরীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের এমপি নাজমুল হাসান পাপন।
মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) কিশোরগঞ্জ আদালতে হাজিরা দিতে গেলে ভৈরব জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৭ জনকে জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন। এমন সব মামলার জট সামাল দিতেই দিন পার হচ্ছে বিএনপি প্রাথীর।
এ আসনে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে নুরুল কাদের সোহেল, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের 'হাতপাখা' মার্কা নিয়ে হাজী মোহাম্মদ মূসা খান ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ 'চেয়ার' মার্কায় রুবেল হোসেন।
কিশোরগঞ্জের অন্যতম এই আসনটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ, ৩২ হাজার, ৬১৪ জন, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৮ হাজার, ৮০১ জন, ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮১৩ জন।
নিবাচনের প্রচারণা নিয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় চা দোকানী মিসকাত বলেন, 'আওয়ামী লীগ মিছিল মিটিং করে। গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠক করে। কিন্তু বিএনপিকে দেখি না। মনে হয় দেশে বিএনপি নাই। মানুষ আওয়ামী লীগ বিএনপি বুঝে না। তারা ভোট দিতে চায়।'
তিনি বলেন, 'অনেক দিন তারা ভোট দিতে পারে না। সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই মানুষ খুশি। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোন পরিবেশ দেহি না। এহন মানুষ ভোট দিতে ডরায়।'
এখনো নির্বাচনের জন্য যে লেভেল প্লেইং ফিল্ড প্রয়োজন তা তৈরী হয়নি বলে দাবি করে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শরিফুল আলম বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। আজো আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দীর্ঘদিন যাবৎ নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, কুলিয়াচর ও ভৈরব উপজেলা নিয়ে কিশোরগঞ্জ-৬ আসন। এটি জাতীয় সংসদের ১৬৭ সংসদীয় আসন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত 'নৌকার' প্রার্থী সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ছেলে ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফন্টের ধানের শীষের একমাত্র প্রার্থী কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম।