সব সময়ই একটা প্রশ্ন ওঠে, প্রাক্তন ক্রিকেটাররা আধুনিক টি২০ ক্রিকেটের যুগে কতটা সফল হতেন? ২০১৯ সালের আইপিএলের যখন নিলাম শেষ, ঠিক তখনই আবার এই প্রশ্নটা উঠল। আর একটি অনুষ্ঠানে এসে সুনীল গাভাসকার নির্দ্বিধায় জানিয়ে দিলেন, কপিলদেব আইপিএল খেললে তাঁর দর উঠত ২৫ কোটি টাকা।
১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে কপিলের ১৭৫ রানের ইনিংসের কথা তুলে ধরে গাভাসকার বলেন, 'প্লেয়ার হিসেবে বা ধারাভাষ্যকার হিসেবে কপিলের ওই ১৭৫ রানের ইনিংসের থেকে ভাল ইনিংস আর দেখিনি। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচে আমাদের ১৭ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। প্রচণ্ড ঠান্ডা ছিল। বল সুইং করছিল। মনে হচ্ছিল ৭০-৮০ রানে আমরা শেষ হয়ে যাব। কিন্তু কপিল ৮০ রানে পৌঁছনোর আগে পর্যন্ত একটা বলও তুলে মারেনি। আজ যদি কপিল খেলত, এই আইপিএলে ওর দর উঠত ২৫ কোটি টাকা।'
বিরাট কোহলির ভারতীয় দল নিয়েও কথা ওঠে। গাভাসকার মনে করেন, ২০১৯ বিশ্বকাপে কোহলিদের পক্ষে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব। বলেন, 'ভারত অবশ্যই বিশ্বকাপ জেতার দাবিদার। এই দলের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সামর্থ আছে।'
একই অনুষ্ঠানে ছিলেন কপিলও। তিনি বলেন, বিশ্বকাপের আগে তিনি কোহলিদের সাহায্য করতে প্রস্তুত। পাশাপাশি আগ বাড়িয়ে তিনি কিছু বলতে যাবেন না মনে করিয়ে কপিল বলেন, 'সানি ভাইয়ের কাছ থেকে এটা শিখেছি। ওরা যতক্ষণ না বলছে, ওদের কাছে যাব না। সব প্রাক্তন ক্রিকেটারই সাহায্য করতে চায়। কিন্তু এখনকার প্লেয়ারদের সেটা আগে বলতে হবে। নিজে থেকে আমরা যাচ্ছি না। ওদের যদি মনে হয়, আমরা সাহায্য করতে পারি, কেউ 'না' বলবে না। কিন্তু সবারই একটা নিজস্ব ধরন এবং টেকনিক আছে। তাই ওদের ড্রেসিং রুমে আমাদের হানা দেওয়াটা উচিত হবে না।'
আলোচনা হয় মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে কপিল বলেন, 'ভারতের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার এম এস ধোনি। দেশের হয়ে ৯০টা টেস্ট খেলার পর হঠাত্ একদিন বলল, এবার নতুনদের সুযোগ দেওয়া উচিত। তারপর খেলা থেকে সরে গেল। ব্যক্তিস্বার্থের আগে দেশের কথা ভাবার জন্য ওকে সেলাম।'