Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘প্রধানমন্ত্রীর ঋণ কখনও শোধ করতে পারবো না’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৪:৪৬ PM
আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৪:৪৬ PM

bdmorning Image Preview


বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি পরিচালক আমজাদ হোসেন গত ১৪ ডিসেম্বর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর ৬দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত দেশে পৌঁছায়নি তার মরদেহ।

হাসপাতালের বকেয়া বিলসহ আমজাদ হোসেনের মরদেহ দেশে আনার সকল আনুষ্ঠানিকতা বাবদ প্রয়োজন ছিল প্রায় ৬৫ লাখ টাকা। কিন্তু এর আগে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে তার চিকিৎসা বাবদ ৪২ লাখ টাকা দেওয়া হয়।  আর সেটি সম্পূর্ণ ব্যয় হয়ে যাবার পর আরও ৬৫ লাখ টাকা দরকার ছিল এবং সেই টাকা ব্যয়ে আমজাদ হোসেনের মরদেহ দেশে আনতে হিমসিম খেয়ে যায় তার পরিবার। এখনও টাকার জন্য বিদেশে পড়ে আছে তার মরদেহ। সেই খবর পেয়ে সকল দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় আগামীকাল শুক্রবার রাত ৭টায় দেশে নিয়ে আসা হচ্ছে তার মরদেহ।

নির্মাতার বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেন, ‘আমার বাবার প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সম্মান দেখালেন তার কৃতজ্ঞতার কি ভাষা থাকতে পারে? আমার জানা নেই। আমার পরিবার কোনোদিন তার এই ঋণ শোধ করতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘বাবার অসুস্থতার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হলো। তিনি মমতাময়ী, আল্লাহ তাকে অনেক বড় মন দিয়েছেন। তিনি ১৮ কোটি মানুষের নেত্রী। তার কাছে কে কোন দল করলো সেটার চেয়ে একজন নাগরিক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, একজন শিল্পীর মূল্যায়ণ অনেক বেশি। বহুবার এই প্রমাণ তিনি দিয়েছেন। আমজাদ হোসেনের বেলাতে তিনি অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা সারাজীবন বিএনপির আদর্শ লালন করেছেন। সেটা জেনেও প্রধানমন্ত্রী আমার বাবার পাশে দাঁড়িয়েছেন। দুই দফায় এক কোটি টাকারও বেশি সহায়তা দিলেন। যা রীতিমতো এদেশের জন্য বিরল একটি ঘটনা। আমি বলতে চাই, মহানুভবতায় তিনি ইতিহাস তৈরি করেছেন।’

Bootstrap Image Preview