সারা দেশে এখন একাদশ নির্বাচনের চাপ। এর মধ্যেই মিরপুরের গ্যালারির কোন চেয়ার ছিলো না ফাঁকা। টাইগারদের সিরিজ জয়ের শরিক হতে মাঠ ছিলো দর্শকে ঠাসা। নিজেদের সব টুকু ভালোবাসা দিয়ে টাইগারদের উৎসাহ দিয়েছেন জয়ের জন্য। কিন্তু সেই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ হয়েছে সাকিবরা। শেষ চেষ্টা করেও টি-টোয়েন্টি সিরিজটা রক্ষা করতে পারলো না। ৫০ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়লো সাকিবরা।
হার না হলে বছরের শেষ সিরিজটা জয় দিয়ে শেষ করতে পারতো টাইগাররা। তবে সেটি না পারলেও ২০১৮ সালে তাদের অর্জনের ঝুড়িটা বেশ ভারী হয়েছে।
এই সিরিজ হারলেই টাইগারদের কাছে বাংলাওয়াশ হতো ক্যারিবিয়ানরা। কারণ টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ তাঁরা আগেই হেরেছে। সেই লজ্জা থেকে বাঁচতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ের শুরু থেকেই ঝড়ের গতিতে রান করতে থাকে। কিন্তু সেই গতি খুব বেশি সময় ধরে রাখতে দেয়নি টাইগার বোলাররা। মাহমুদউল্লাহ , মোস্তাফিজ ও সাকিবের কাছে পরাস্থ হন। কিন্তু পরাস্থ হলেও ততক্ষণ লড়াই করার পুঁজি করে ফেলেছে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানরা। ইভেন লুইসের ৮৯ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৯০ রান করে উইন্ডিজ।
সিরিজ জয়ের জন্য ১৯১ রানের লক্ষ্যটা বেশ কঠিন টাইগারদের কাছে। কারণ তাদের টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে ১৯০ রান চেস করে কখনো জয় লাভ করেনি।
তাই গত ম্যাচের জয়ের সাহস নিয়ে ব্যাটিং করতে নামলেও শুরুতেই রান আউট হয়ে ব্যাটিং বিপর্যয় ডেকে আনেন তামিম ইকবাল। প্রথম উইকেট হারানোর পর উইকেটে থাকা লিটন এই দিনও জ্বলে উঠেন ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকেন। মাত্র ২৭ বলে দলীয় ফিফটি হয় বাংলাদেশের।
লিটনের ব্যাটে তখন ঝড়। চার-ছক্কা মেরে গ্যালারি গরম করে ফেলেছেন। কিন্তু অপর প্রান্তে থাকা সৌম্য অ্যালেনের বলে হয়ে গেলেন ক্যাচ আউট।
সৌম্যর আউট যেন ব্যাটিং বিপর্যয়ের শুরু। সেই ওভারের শূন্য রানে ক্যাচ আউট হলেন সাকিব। সাকিবের বিদায়ের ছয় বল যেতে না যেতেই পলের বলে ক্যাচ আউট হন মুশফিক । নিমিষেই শেষ হয়ে গেল টাইগারদের ব্যাটিং লাইন। মুখ থুবড়ে ধ্বসে পড়লো।
আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারলেন না। উইকেটে থাকা লিটন তখন অসহায় সঙ্গী না পেয়ে হতাশায় ব্যাট চালাতে থাকেন। কিন্তু সেই ব্যাটের ঝড় বেশি দীর্ঘ হতে দিলেন না পল।
লিটনের বিদায়ের পর আর কেউ এই বিশাল রানের সামনে ব্যাটিং করতে পারেননি। অবশেষে ১৭ ওভারে ১৪০ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা।
টাইগারদের সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ব্যাটিং- তামিম(৮), লিটন(৪৩), সৌম্য(৯), সাকিব(০),মুশফিক(১), মাহমুদউল্লাহ(১১),আরিফুল(০), সাইফউদ্দিন(৫), মিরাজ(১৯), আবু হায়দার(২২)* ও মোস্তাফিজ(৮)।
বোলিং- কেমো পল(৫), অ্যালেন(২), কোটরেল(১), ব্রর্থওয়েট (১)8)ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ ১৯০/১০
ব্যাটিং- ইভিইন লুইস(৮৯), শাই হোপ(২৩), শিমরন হেটমায়ার(০), শেরফান রাদারফোর্ড(২),নিকোলাস পুরন(২৯), রভম্যান পাওয়েল(১৯), কার্লোস ব্রথওয়েতে(৮) (অধিনায়ক), ফ্যাবিয়ান এলেন(৮), কেমো পল(২),শেলডন কোটরেল(২)*, ওশেন থমাস(০)।
বোলিং- মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ(৩), মোস্তাফিজুর (৩),সাকিব আল হাসান(৩)।
টাইগারদের একাদশঃ সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, আবু হায়দার রনি, আরিফুল হক ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
উইন্ডিজ একাদশঃ ইভিইন লুইস, শাই হোপ, শিমরন হেটমায়ার, শেরফান রাদারফোর্ড,নিকোলাস পুরন, রভম্যান পাওয়েল, কার্লোস ব্রথওয়েতে (অধিনায়ক), ফ্যাবিয়ান এলেন, কেমো পল,শেলডন কোটরেল, ওশেন থমাস।