লালমনিরহাটে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী ও নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন এমপি ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অবঃ) খালেদ আখতার পাল্টা পাল্টি অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার তারা তাদের নির্বাচনী গণসংযোগ কালে সাংবাদিকের কাছে পাল্টাপাল্টি বিভিন্ন অভিযোগ করেন।
জেলার পাটগ্রাম উপজেলার পুরাতন বাসস্টান্ড এলাকায় গণযোগকালে লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন এমপি বলেন, আমি মহাজোটের প্রার্থী। তারপরও এ আসনে জাতীয় পার্টি প্রার্থী দিয়েছেন। আমি আমার দল ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাকে বলেছেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবেন কিন্তু এখন পর্যন্ত তা করেনি। জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সাথে বেইমানি করেছে। এ সময় তিনি দাবি করেন, লালমনিরহাটে জাতীয় পার্টির কোনো অস্তিত্ব নেই। আওয়ামী লীগের বিজয় সুনিশ্চিত।
অপর দিকে শুক্রবার রাতে জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ কালে লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও এরশাদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মেজর (অবঃ) খালেদ আখতার বলেন, এ আসনটি উম্মুক্ত। আমরা আমাদের হারিয়ে যাওয়া আসনটি উদ্ধার করবো। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, জাতীয় পার্টির বিজয় নিশ্চিত জেনে আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা আমার প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করছে। আমার প্রচার মাইক ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে। আমি এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছি।
লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির অধিকাংশ নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগ প্রার্থী সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছে না। এছাড়া লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনে আওয়ামীলীগের অধিকাংশ নেতা কর্মী মহাজোট প্রার্থী জি এম কাদেরের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছে না। ফলে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদে ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের একলা চলো নীতি অনুসরণ করছে।