বাংলাদেশের বৃহত্তম যৌনপল্লী রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে অবস্থিত। শত বছরের এই পুরনো পল্লীতে বর্তমানে প্রায় চার হাজার যৌনকর্মীর বসবাস।
জানা যায়, এই যৌনপল্লীতে বর্তমানে ভোটার সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। তবে অজানা কারণেই জাতীয় পরিচয়পত্রে গ্রামের নামের স্থানে লেখা হয়েছে 'পতিতালয়'। পেশা পতিতাবৃত্তি হলেও গ্রামের নাম কিভাবে 'পতিতালয়' হল তা নিয়ে উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
অন্যদিকে, জাতীয় পরিচয়পত্রে এমন ভুলের কারণে পদে পদে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে এলাকাটির বাসিন্দাদের। আর এই ভুলের মাশুল গুনছেন প্রায় ২ হাজার যৌনকর্মী।
একাধিক যৌনকর্মী জানিয়েছেন, সন্তানের স্কুলে ভর্তির সময়, কেউ মারা গেলে ডেড সার্টিফিকেট তোলার সময়ও এই জাতীয় পরিচয়পত্র লাগে। এমনকি কেউ যদি গামেন্টেস বা অন্য কোথাও কাজ করতে চায় তবুও ওই আইডি কাড প্রদর্শন করতে পারেন না।
তারা আরও জানায়, যারা চাকরি করতে চায় তাদের আইডি কার্ড নকল করে চাকরিতে ঢুকতে হয়। শুধুমাত্র এই গ্রামের নামটির জন্য কার্ডটি শো করতে পারেন না বলে অভিযোগ তাদের।
ভোটের বিনিময়ে হলেও জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে পতিতালয়ের পরিচয়টি মুছে ফেলার দাবি জানিয়েছেন যৌনকর্মীরা।
এ দিকে যৌনকর্মীদের জাতীয় পরিচয়পত্রে এমন অসঙ্গতিতে হতবাক হয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।
বিষয়টি জানার পর তিনি রাজবাড়ী জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া বিষয়টি সংশোধনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লেখার কথাও জানান তিনি।