এই আম্পায়ারের এমন কাণ্ড নতুন নয়। এর আগেও এই ধরনের ঘটনার জন্য তাঁর বেশ সুনাম আছে। তাঁর অসৎ সিন্ধান্তে প্রতিবাদ করে সাকিব আল হাসানও জরিমানা গুনেছেন। গতকাল ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সেই একই কাজ করলেন আম্পায়ার তানভির। তবে সেটা মেনে নিতে পারলেন না ক্যারিবিয়ান ক্যাপ্টেন কার্লোস ব্রাফেট। প্রতিবাদ জানালেন । ছুটে চলে গেলেন মাঠের বাহিরে। এই ধরনের আচরণের জন্য হয়তো তাঁর শাস্তিও হতে পারে।
কিন্তু সে শাস্তির পরোয়া করেন না ব্রাফেট। তিনি মনে করেন,আজ ম্যাচের চতুর্থ ওভারে আম্পায়ার দুবার অন্যায়ভাবে ‘নো বল’ ডেকেছেন। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার নো বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন লিটন দাস। তখনই ব্রাফেট প্রতিবাদ করেন। ম্যাচ রেফারিকে মধ্যস্থতা করতে নেমে আসতে হয় নিচে। খেলা ৯ মিনিটের মতো বন্ধও ছিল।'
ক্যারিবিয়ান এই ক্যাপ্টেন খেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁর সিন্ধান্ত পরিবর্তন করলেন না, শাস্তি আসবে-যাবে, তবে যদি ন্যায়ের পক্ষে না দাঁড়ান, তার মানে হলো আপনি অন্যায়কে সমর্থন দিলেন। আমাকে যদি কোনো শাস্তি দেওয়া হয়, আনন্দের সঙ্গে তা মাথা পেতে নেব। আমার সতীর্থদের ওর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো উচিত ছিল। আর যেহেতু আমি ওদের দলনেতা, আমার উচিত ছিল সতীর্থদের জন্য প্রতিবাদ করা।’
তিনি আরো মনে করেন'খেলার মাঝখানের ওই বিরতি শেষ পর্যন্ত তাদের পক্ষে গেছে, ‘এটা তো আমার হাতে ছিল না। আমার তখন মনে হয়েছিল, ওই সিদ্ধান্তটা আমাদের পক্ষে না গেলে ম্যাচটা বদলে যেতে পারে। আমরা ইচ্ছে করে ম্যাচের ছন্দ প্রতিহত করিনি। এখন পেছনে ফিরে তাকালে মনে হচ্ছে, খেলায় যে বিরতি পড়েছিল, তাতে হয়তো ফলাফলে ওপর প্রভাব পড়েছে। আমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত পেতে হবে। প্রথমত আমরা বুঝতে চেয়েছি, এমন সিদ্ধান্ত কেন দেওয়া হলো। এরপর বুঝতে চেয়েছি আইন কী বলে। যদি আইনের বদলে আপনার বিবেচনা বোধ যদি সিদ্ধান্তটা বদলায়, তাতেই আমরা খুশি হয়ে ম্যাচটা শেষ করতাম। যদিও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।'