একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়টা দিন বাকী। নির্বাচনের যতই দিন ঘনিয়ে আসছে ততই প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় বাড়ছে। নির্বাচন প্রচারণায় শেষ মুহুর্তে ব্যস্ততম সময় পার করছেন রাজশাহী-১ আসনের ঐক্যফ্রন্ট মনোনিত প্রার্থী বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক।
প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশসহ প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। দীর্ঘ ১২ বছর রাজনীতির মাঠে না থাকার ফলে নির্বাচন প্রচারণায় সময় একটু হিমশিম খেতে হলেও জনগণের সাড়া বেশ পাচ্ছেন বলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর হতে বিএনপির প্রচার প্রচারণায় বাঁধা দিয়ে আসছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এমন অভিযোগ রয়েছে বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের পক্ষ হতে। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না এমনটাই বলছেন বিএনপির নেতারা।
বিএনপির নেতারা জানান, পুলিশ হয়রানী, ফেস্টুন ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা, সভা-সমাবেশে বাঁধার মধ্যে দিয়েই বিএনপির হেভিওয়েট এই প্রার্থী ব্যারিস্টার আমিনুল হক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। নারীদের দিয়ে গোদাগাড়ী-তানোর উপজেলার প্রতিটি বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভোট চাইছেন ব্যারিষ্টার আমিনুল হকের পক্ষে। এতে নারী ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন ব্যারিষ্টার আমিনুল হক।
গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম শাওয়াল জানান, আমরা নির্বাচনের মাঠে জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। জনগণ ধানের শীষে ভোট দিয়ে ব্যারিষ্টার আমিনুল হককে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। বিশেষ করে নারী ভোটাদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে ধানের শীষের প্রতীকে ভোট দেবার জন্য।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম শাওয়াল অরো জানান, আমরা নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড পাচ্ছি না। আওয়ামী লীগ কর্মীদের কাছ হতে অনেক বাঁধা প্রদান ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। পোস্টার, ফেস্টুন ছিড়ে ফেলা হচ্ছে, পুলিশ দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। রিটানিং অফিসারসহ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়ে কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। এখন পর্যন্ত যত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে একটিরও ফল পাওয়া যায়নি বলে জানান।
তবে তিনি দাবি করেন, ফেয়ার ভোট হলে এই আসনটি ব্যারিষ্টার আমিনুল হক আবারও বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে বলে আশা করেন।