একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারণা শেষ হচ্ছে আগামী ২৮ ডিসেম্বর মধ্যরাতে (রাত ১২টা)। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওই সময়ের পর থেকে ৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের আগ পর্যন্ত সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের এক নির্দেশনার আলোকে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করে সব রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ‘১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৮ অনুসারে ভোটগ্রহণ শুরুর পূর্ববর্তী ৪৮ ঘণ্টা এবং ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে ১ জানুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত সব নির্বাচনী এলাকায় যে কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল ও শোভাযাত্রা করা যাবে না।’ অর্থাৎ সংসদ নির্বাচনের সব প্রচার কাজ বন্ধ করতে হবে ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টার আগেই। আর ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোনো প্রচার চালানো যাবে না।
‘এর আগে উল্লেখিত সময়সীমা ভোটগ্রহণের মধ্যরাত থেকে পূর্ববর্তী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত ছিল। ফলে বিষয়টি রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক স্থানীয়ভাবে ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলোকে জানানোর প্রয়োজন রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বিষয়ে সর্বাধিক প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে।’
এছাড়া যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণের আগের দিনগত রাত ১২টা থেকে ভোটগ্রহণের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সি ক্যাব, বেবিট্যাক্সি/অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পো, লঞ্চ, ইজিবাইক, ইঞ্জিন চালিত বোট ও স্পিডবোট চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
তবে সারাদেশে ২৯ ডিসেম্বর দিনগত মধ্যরাত থেকে ২ জানুয়ারি দিনগত মধ্যরাত পর্যন্ত ক্ষেত্র বিশেষে আরো বেশি সময় মোটরসাইকেল বা এ রকম অন্যান্য যান চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে।
জাতীয় মহাসড়ক এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যানবাহন বা নৌযান ও জরুরি সেবা প্রদানকারী বা অনুরুপ যান চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিলযোগ্য হবে।
পরিপত্রে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুসারে সড়ক পরিবহন বিভাগ এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কেও এ সংক্রান্ত পৃথক আদেশ জারি করতে বলা হয়েছে।