প্রথম দুই টেস্টে লোকেশ রাহুল-মুরলি বিজয়ের ব্যর্থতা পাশাপাশি পৃথ্বী শ’র চোট পেয়ে দেশে ফিরে যাওয়া। হঠাৎই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট অভিষেকের সুযোগ এসে গেল তরুণ ময়াঙ্ক আগরওয়ালের কাছে। নতুন সেনানী হিসেবে মেলবোর্নে ভারতীয় দলের ওপেনিংয়ে কর্ণাটকের এই ডানহাতি ওপেনারের উপরেই ভরসা রাখল কোহলি-শাস্ত্রী থিঙ্কট্যাঙ্ক। আর সুযোগ পেয়ে নিরাশ করলেন না ময়াঙ্ক। বরং ‘স্পোর্টিং ক্যাপিটাল অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’ মেলবোর্নে ময়াঙ্কের ব্যাটিংয়ে অভিজ্ঞতার ছাপ। টেস্ট ক্রিকেটের অভিষেক ইনিংসে জানান দিয়ে গেলেন তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া।
মূলত তাঁর ব্যাটিং দৃঢ়তা তৃতীয় টেস্টের প্রথমদিন চা-বিরতিতে ভারতকে পৌঁছে দিল ভালো জায়গায়। বিরতির আগে শেষ বলটায় প্যাট কামিন্সের ডেলিভারিতে ঠকে গেলেন ময়াঙ্ক। তবে তার আগে পর্যন্ত সিরিজে প্রথমবার অস্ট্রেলিয় বোলারদের শাসন করে গেলেন কোনও ভারতীয় ওপেনিং ব্যাটসম্যান। হনুমা বিহারী আউট হয়েছিলেন বিরতির আগেই। পূজারাকে সঙ্গী করে চা-বিরতিতে ময়াঙ্ক দলকে পৌঁছে দিলেন ১২৩ রানে।
এদিন মেলবোর্নে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। প্রথম দু’টি টেস্টে যা হয়নি, বক্সিং ডে টেস্টে তাই করে দেখাল ভারতের নতুন ওপেনিং জুটি৷ এমসিজি-তে শুরুটা মন্দ হয়নি টিম ইন্ডিয়ার। মাত্র আট রানে বিহারীর উইকেট হারালেও স্বপ্নের টেস্ট অভিষেক হয় ময়াঙ্ক আগরওয়ালের। লাঞ্চে দলীয় ৫৭ রানের মধ্যে ব্যক্তিগত ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১০ রানে অপরাজিত থেকে লাঞ্চে যান ডিপেন্ডবল পূজারা।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতি থেকে ফিরে অভিষেকে অর্ধশতরান তুলে নেন বছর সাতাশের ময়াঙ্ক। ময়াঙ্ক-পূজারার সাবলীল ব্যাটিংয়ে হ্যাজেলউড, কামিন্স, লায়নদের সামনে দারুণ ছন্দে টিম ইন্ডিয়া। এরপর অভিষেকে যখন ময়াঙ্কের ব্যাটে একটু একটু করে শতরান দেখার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন অনুরাগীরা। ঠিক তখনই ছন্দপতন। লেগ স্টাম্পে কামিন্সের বাউন্সারটা ময়াঙ্কের গ্লাভস ছুঁয়ে ধরা পড়ল পেইনের দস্তানায়। ১৬১ বলে ৭৬ রানে শেষ হল কর্ণাটকী ব্যাটসম্যানের স্বপ্নের অভিষেক। ক্রিজে থিতু হয়ে তাঁকে যোগ্য সহায়তা করে গেলেন পূজারা। চা-বিরতিতে ভারত দুই উইকেট হারিয়ে ১২৩। ক্রিজে ৩৩ রানে অপরাজিত পূজারা।