জামায়াত নেতারা বিএনপির প্রতীকে প্রার্থী হবে জানলে ঐক্যফ্রন্টের দায়িত্ব নিতাম না: ড. কামাল

জামায়াত নেতারা ধানের শীষ নিয়ে প্রার্থী হবে জানলে ঐক্যফ্রন্টের দায়িত্ব নিতেন না জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

গত বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান। সাক্ষাৎকারটি বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে।

নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে জামায়াত নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া বোকামি হয়েছে বলে মন্তব্য করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এ শীর্ষনেতা বলেন, ‘যদি জানতাম জামায়াত নেতারা বিএনপির প্রতীকে নির্বাচন করবেন, তাহলে আমি এতে যোগ দিতাম না। কিন্তু ভবিষ্যৎ সরকারে যদি জামায়াত নেতাদের কোনও ভূমিকা থাকে, তাহলে আমি তাদের সঙ্গে একদিনও থাকবো না।’

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর ২২ জন নেতার বিএনপি’র প্রতীকে নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, ‘দুঃখের সঙ্গে আমাকে বলছে হচ্ছে জামায়াত নেতাদের মনোনয়ন দেওয়াটা বোকামি। আমি লিখিত দিয়েছি যে, জামায়াতকে কোনও সমর্থন দেওয়া এবং ধর্ম, মৌলবাদ, চরমপন্থাকে সামনে আনা যাবে না।’

ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি, হ্যাঁ বা না বলবো না। কিন্তু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কোনও পদ ও বেতন ছাড়াই কাজ করতে আগ্রহী।’

দেশের পুলিশ ও প্রশাসনে দলীয়করণের অভিযোগের প্রসঙ্গে কামাল হোসেন বলেন, ‘পুলিশের দিকে দেখুন তারা কী করছে?’ পুলিশ এখন দলীয় লাঠিয়ালে পরিণত হয়েছে বলেও ড. কামাল হোসেন অভিযোগ করেন।

নির্বাচনের বিষয়ে কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি ভোটের দিনের অপেক্ষায় আছি। ভোটের দিন একটি স্বাধীনতার দিন। যদি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তাহলে তা হবে দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিন। এখন গণতন্ত্র বিপদগ্রস্ত। যদি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, তাহলে স্বাধীনতা অর্থপূর্ণ হবে।’

ভারতের সঙ্গে বিএনপি’র সম্পর্কের বিষয়ে ড. কামাল বলেন, ‘ভারতকে বিএনপি বলেছে, তারা ভুল ছিল। খালেদা জিয়া যখন ভারত গেলেন, তখন তিনি তাদের এটা বলেছেন। এটা তাদের ভুল উপলব্ধির প্রক্রিয়ার অংশ, খালেদা জিয়া নিজেদের অবস্থান সংশোধন শুরু করেছেন।’