হাতে হাতকড়া, দড়ি ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ আর হাতকড়া পরহিত ব্যাক্তি এই ফাকে নিজের সন্তানকে চুমু খাচ্ছেন আদালত প্রাঙ্গণে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে এমন একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে কয়েক দিন হলো। দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ এই ছবিটি নিয়ে নানা ধরণের সমালোচনা করছেন সেই সাথে রাজনীতির এদিক সেদিক নিয়েও চলছে বিস্তর বিতর্ক। এমন ছবির ব্যাপারে মুখে কুলুপ এটে থাকতে পারেননি জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীও।
বাবা-ছেলের এমন ভালোবাসা তার মনকেও নাড়া দিয়েছে। আর তাই এই ছিবিটি দেখে নিজের ফেসবুকে এক পোস্ট ফারুকী লিখেছেন তার একান্ত ব্যাক্তিগত কিছু অনুভূতির কথা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফারুকী তার ফেসবুকে লিখেন- নসরুল হামিদ বিপু ভাই আহত গয়েশ্বর রায় দাদাকে দেখতে গিয়ে যে কথাগুলো বললেন আমরা আশা করবো এই স্পিরিটটা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। এই রাজনীতিই আমরা ২০১৮তে দেখতে চাই। বিপক্ষ প্রার্থী বা সমর্থকদের মারধর বা গ্রেফতারের রাজনীতি না। এই দেশে দুই পক্ষকেই থাকতে হবে। কেউ কাউকে নির্মূল করতে পারবো না।
গত কিছুদিন যাবত যা হচ্ছে তা দেখে একটা কথাই বারবার মনে হচ্ছিলো, বাংলাদেশ নিডস এমপ্যাথি। কাউকে গুম করার আগে, আঘাত করার আগে ভাবা দরকার এই আঘাত আমার উপর আসলে কেমন লাগবে আমার। কোনো বাবাকে সন্তানের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার আগে ভাবা দরকার, আমার ক্ষেত্রে এটা হলে কেমন লাগবে। কালকে কোর্ট প্রাঙ্গণে হাতকড়া লাগানো বাবার সন্তানকে চুমু খাওয়ার ছবিটা দেখে এক বিনিদ্র রাত কেটেছে আমার। বাবারা সন্তানদের কাছে সুপারম্যান। সেই সুপারম্যানের এই অসহায়ত্ব আমাকে পরাজিত করেছে। আমি ভাবছিলাম, "উই নিড অ্যামপ্যাথি"! এমনকি যে পুলিশ ভাই তাকে বেঁধে নিয়ে যাচ্ছিলেন তারও হয়তো এরকম একটা বাচ্চা আছে। তারও অবকাশ আছে ভাবার, আহারে আমার সাথে এরকম হলে আমার ভেতরটায় কি হতো?
এমপ্যাথি, এমপ্যাথি ইজ হোয়াট উই নিড। এটা একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরে বলেছিলাম, এখনও বলি।