আজীবন জামায়াতের রাজনীতির বিরোধিতা করে এসেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। অথচ এবার তার দলের প্রার্থিদের প্রতীক আর জামায়াতের প্রতীক একই। এ নিয়ে বহু সমালোচনা শুনতে হয়েছে তাকে।
জামায়াতের সঙ্গী বিএনপির সঙ্গে ভোটে অংশ নেয়ার বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. কামাল হোসেন। বুধবার ভারতের জনপ্রিয় দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ড. কামাল বলেন, বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে- এটা জানলে তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দায়িত্ব নিতেন না।
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর ২২ জন নেতার বিএনপির প্রতীকে নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, দুঃখের সঙ্গে আমাকে বলতে হচ্ছে জামায়াত নেতাদের মনোনয়ন দেয়াটা বোকামি।
আমি লিখিত দিয়েছি, জামায়াতকে কোনো সমর্থন দেয়া এবং ধর্ম, মৌলবাদ, চরমপন্থাকে সামনে আনা যাবে না। তিনি আরও বলেন, যদি জানতাম জামায়াত নেতারা বিএনপির প্রতীকে নির্বাচন করবেন, তাহলে আমি এতে যোগ দিতাম না। কিন্তু ভবিষ্যৎ সরকারে যদি জামায়াত নেতাদের কোনো ভূমিকা থাকে, তাহলে আমি তাদের সঙ্গে একদিনও থাকব না।
ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের বিষয়ে ড. কামাল বলেন, ‘ভারতকে বিএনপি বলেছে, তারা ভুল ছিল। খালেদা জিয়া যখন ভারত গেলেন, তখন তিনি তাদের এটা বলেছেন। এটা তাদের ভুল উপলব্ধির প্রক্রিয়ার অংশ, খালেদা জিয়া নিজেদের অবস্থান সংশোধন শুরু করেছেন।’
ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, আমি, হ্যাঁ বা না বলব না। কিন্তু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কোনো পদ ও বেতন ছাড়াই কাজ করতে আগ্রহী।
নির্বাচনের বিষয়ে কামাল হোসেন বলেন, আমি ভোটের দিনের অপেক্ষায় আছি। ভোটের দিন একটি স্বাধীনতার দিন। যদি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তাহলে তা হবে দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিন। এখন গণতন্ত্র বিপদগ্রস্ত। যদি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, তাহলে স্বাধীনতা অর্থপূর্ণ হবে।