Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

শ্যামনগরে শীতের তীব্রতা বেড়ে চললেও শীতবস্ত্র বিতরণ আশানুরুপ নয়

রনজিৎ বর্মন, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৪:৫৬ PM
আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৪:৫৬ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: রনজিৎ বর্মন


খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় দিনে দিনে শীতের তীব্রতা বেড়ে চলেছে। মৌসুমের শুরুতে বেশী শীত পড়লেও মাঝে কমে যায় কিন্তু বর্তমানে শীতের তীব্রতা আবারও বেড়ে চলেছে। শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার ফুটপাত দোকানসহ স্থায়ী বসতি দোকানে শীতবস্ত্র ক্রয়ের ভীড় বেড়েছে।

উপজেলা সদরের ডাক বাংলার মোড়ের ফুটপাতের শীত বস্ত্রের ব্যবসায়ী ইব্রাহিম খলিল বলেন, শীতের প্রকোপ বাড়লে বেঁচা কেনা বেড়ে যায়। তিনি বলেন, বর্তমানে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দৈনিক ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকার মালামাল বিক্রী হচ্ছে এবং বিক্রীর মধ্যে বেশী বিক্রী হচ্ছে শিশুদের পোশাক।     

কালিগঞ্জ উপজেলার মেতলা গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আজগর আলী বলেন, তিনি বড়দের বিভিন্ন পোশাক বিক্রী করছেন বিভিন্ন দামে। এখানে নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ কম বেশি পোশাক ক্রয় করছেন।

উপজেলা সদরের সুষমা গার্মেন্টসের মালিক পরিমল কর্মকার বলেন, শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দেশি-বিদেশি কম্বল, পুরুষ মহিলাদের শীতবস্ত্র প্রত্যহ কম বেশি বিক্রী হচ্ছে।

এ দিকে শীতের তীব্রতা বাড়লেও দরিদ্র শ্রেণির মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ তেমনভাবে লক্ষ্য করা যায়নি বলে অনেকে মতামত প্রকাশ করেছেন।

উপজেলায় মুন্ডাদের নিয়ে কাজ করছেন বেসরকারি সংগঠন সামসের নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণ পদ মুন্ডা বলেন, শীতের প্রকোপ বাড়লেও দরিদ্র মুন্ডা সম্প্রদায়ের মধ্যে সরকারি বা বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি বলেন, সামসও কোন ব্যক্তির সহায়তায় এখনও পর্যন্ত শীতবস্ত্র বিতরণ করতে পারেনি।

সদর ইউপির গোপালপুর ঋষি পাড়ার বাসিন্দা ভোলা ও গোপাল ঋষি বলেন. প্রতি বছর ঋষি পাড়ায় সরকারি বা বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র কম-বেশি বিতরণ করা হয়। এ বছর এখনও পর্যন্ত কেউ শীতবস্ত্র বিতরণে এগিয়ে আসেননি। অবশ্য তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন যে নির্বাচনের পরে হয়ত পাবো।

উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার ইউপি সচিব কার্ত্তিক চন্দ্র বলেন, এ ইউনিয়নে বাঘ বিধবাসহ অন্যান্য শ্রেণির দরিদ্র ব্যক্তির মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে এ পর্যন্ত ৮০/৯০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায়।

তিনি বলেন, এখানে আরও প্রয়োজন যেটি নির্বাচনের পরে বরাদ্দ পেয়ে বিতরণ করা হবে।

শীতবস্ত্র বিতরণের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে সকলে ব্যস্ত, নির্বাচনের পরে শীতবস্ত্র বিতরণে অনেকে ঝাঁপিয়ে পড়বেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সেলিম খাঁন বলেন, নভেম্বর মাসে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে শীতবস্ত্র ৯৮১টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে এবং আরও ৩৯০০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত উপজেলাতে পৌঁছায়নি।

উপজেলা সদরের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নজরুল ইসলামসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ মতপ্রকাশ করে বলেন, শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দরিদ্রদের শীত নিবারণে সরকারি-বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা দরকার।

Bootstrap Image Preview