তিন দিনেই শেষ পাকিস্তান ও আফ্রিকা মধ্যকার টেস্ট৷ এলগার ও আমলার ব্যাটে প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে সহজে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা৷ সুপারস্পোর্ট পার্কে ১৪৯ রান তাড়া করে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল প্রোটিয়াবাহিনী৷ এই ম্যাচে ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দুই দলের অধিনায়কই ০ রানে আ্উট হয়েছেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে রান তাড়া করতে নেমে শূন্য রান মার্করামের উইকেট হারালেও এলগার ও আমলার হাফ-সেঞ্চুরির সাহায্য ম্যাচ জিততে বেগ পেতে হয়নি ডু’প্লেসিদের৷ দ্বিতীয় উইকেটে এলগার ও আমলার ১১৯ রানের পার্টনারশিপ প্রোটিয়াদের ম্যাচ জয় সহজ করে দেয়৷ সেঞ্চুরি পার্টনারশিপের পর দ্রুত তিন উইকেট হারালেও আমলার অপরাজিত ৬৩ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা হাসতে হাসতে ম্যাচ জিতে নেয়৷ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে এদিন ১০০০ রানের মাইলস্টোন টপকে যান আমলা৷
দুই দলের অধিনায়কই টেস্ট রানের খাতা খুলতে পারেননি৷ পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের মতো প্রোটিয়া অধিনায়ক ফ্যাফ ডু’প্লেসিও দু’ ইনিংসেই শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন৷ টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবার দুই দলের ক্যাপ্টেনই দুই ইনিংসেই ডাক মারলেন৷ ম্যাচ সেরা প্রোটিয়া পেসার অলিভার৷ ৯৬ রান দিয়ে ম্যাচে ১১ উইকেট নেন ডানহাতি প্রোটিয়া পেসার৷ ম্যাচ জিতলেও পাক বোলারদের ভূয়সি প্রশংসা করেন প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন৷ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ৩ জানুয়ারি কেপ টাউনে৷
তবে এই টেস্টও বিতর্কের উর্ধ্বে থাকল না৷ প্রোটিয়া ওপেনার এলগারের আউট নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়৷ ব্যক্তিগত ৮ রানে তৃতীয় স্লিপে আমলার ক্যাচ ফেলেন ফকর জামন৷ কিন্তু তার পরের ওভারে এলগারের ক্যাচ প্রথম স্লিপে ঝাঁপিয়ে ধরেন আজহার আলি৷ কিন্তু মাঠের দুই আম্পায়ার অক্সেনফোর্ড ও রবি আউট দিয়েও থার্ড আম্পায়ার জোয়েল উইলসনের কাছে রিভিউ চান৷ বেশ কয়েকবার রি-প্লে দেখার পর নট-আউট দেন থার্ড আম্পায়ার৷
কিন্তু থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে হতবাক হয়ে যান পাক ক্রিকেটাররা৷ আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অবাক হয়ে প্লেয়ার ব্যালকনিতে নিজের জায়গা থেকে উঠে ম্যাচ-রেফারি ডেভিড বুনের দিকে তাকিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন পাক কোচ মিকি আর্থার৷ তৃতীয় আম্পায়ায়ের নট-আউটের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা শোনা যায় ধারাভাষ্যকার মাইকেল হোল্ডিংয়ের গলায়৷ কিংবদন্তি ক্যারিবিয়ান পেসার বলেন, ‘আমি নিশ্চিত ও আউট ছিল৷ থার্ড আম্পায়ার ভুল সিদ্ধান্ত জানিয়েছে৷ নিয়ম হল থার্ড আম্পায়ার ১০০ শতাংশ নিশ্চিত না-হলে অন-ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই ঠিক থাকে৷’