আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিএনপি জামায়াত ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে মতের ঐক্য না থাকায় তারা সামগ্রিক পরিস্থিতিকে ডালে-চালে খিচুরি বানিয়ে ফেলেছে।
আজ সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সকাল ৮টা থেকে সারা দেশে অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে শান্তিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট উৎসবে শামিল হয়েছেন। ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের সরব উপস্থিতি গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা দেখতে পাচ্ছি। জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের পছন্দমত প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন। ভোট প্রদানের কোন ধরনের ভয়-ভীতি এখনো পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায়নি। জনগণের এই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদের গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে আরও শক্তিশালী করবে। এবারের নির্বাচন সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এবং একাধিক অংশগ্রহণ করেছে। প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক সংলাপ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় নির্বাচনের পথ উন্মোচিত করেছিলেন। দেশের জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক এবং প্রশংসার দাবি রাখে।
গণমানুষের কল্যাণে আওয়ামী লীগের অবদান ও সাফল্যের কারণে নৌকার পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বজয়ী নেতা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষে অবস্থান করেছে।
ধ্বংসাত্মক রাজনীতির কারণে জনগণ বিএনপি-জামায়াত জোটকে প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণ বিএনপির ডাকে কোন সাড়া দেয়নি। বিএনপি জামায়াত জোট জনগণের দ্বারা প্রত্যখ্যাত হয় নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় নামতে পারেনি। বিএনপি জামায়াত জোট নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে সন্ত্রাস ও সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। নির্বাচনের আগের রাতে বিএনপি জামাত সন্ত্রাসীদের হামলায় পাঁচজন আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী নিহত হয়েছে।
বিএনপি-জামায়াত একদিকে সারা দেশে ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে মিডিয়ার সামনে লাগাতার মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। ড.কামাল হোসেনের মতো প্রবীণ ব্যক্তি ও কিভাবে এ কিশোরী মিথ্যাচার করছেন। তিনি বিএনপির এজেন্ট না থাকার কথা বলেছেন। অথচ সাতটি আসনে উচ্চ আদালতের রায়ে প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় বিএনপির এজেন্ট না থাকারই কথা। যেখানে প্রার্থী নেই সেখানে এজেন্ট থাকবে কিভাবে। বাংলাদেশের কোন নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির প্রার্থী অথবা তাদের এজেন্ট এর ওপর জোর জবরদস্তি করা হয়েছে এমন কথা কেউ বলতে পারবে না। সাংবিধানিকভাবে নির্বাচনে অযোগ্য যুদ্ধাপরাধী বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার খুনি পরিবারসহ এবং একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের পরিবার এবং জঙ্গিবাদ এর প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষকদের মনোনয়ন দিয়ে বিএনপি'র দেউলিয়াত্ব প্রকাশিত হয়েছে।
আমরা সারা দেশের জনগণকে অত্যন্ত সতর্ক ও ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা বলতে চাই দেশের এক বিশেষ মুহূর্তে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সকল ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে আমরা বাংলাদেশের জনগণকে গণতন্ত্রের ভোট উৎসবে যোগদান করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় আওয়ীলীগ নেত্রী মারুফা আক্তার পপি, যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাউসার প্রমুখ।