একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গণতন্ত্রের ইতিহাসে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হিসেবে এই নির্বাচন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত বেসরকারি ফল ঘোষণার পর ইসি সচিব এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অত্যন্ত সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকরা এই নির্বাচনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। নির্বাচন কমিশনও এই নির্বাচনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আরেকটি বড় দায়িত্ব হচ্ছে ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করা। এই গেজেট প্রকাশ হলে তা স্পিকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তিনি এর পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবেন। সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
ইসি সচিব ঘোষিত চূড়ান্ত বেসরকারি ফল অনুযায়ী, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ পেয়েছে সর্বোচ্চ ২৫৯টি আসন, দ্বিতীয় স্থানে থাকা জাতীয় পার্টি লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছে ২০টি আসন, আর তৃতীয় স্থানে থাকা বিএনপি ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছে ৫টি আসন। এর বাইরে মহাজোটের শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টি তিনটি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) দুইটি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ দুইটি এবং জাতীয় পার্টি (জেপি) ও তরিকত ফেডারেশন একটি করে আসন পেয়েছে। আর বিএনপির জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল গণফোরাম জয় পেয়েছে দুইটি আসনে। তিনটি আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
জোটের হিসাব আমলে নিলে এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট পেয়েছে ২৮৮টি আসন, বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে সাতটি আসন। জাতীয় পার্টি মহাজোটের শরিক দল হলেও তারাই দশম সংসদের মতো একাদশ সংসদেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংসদীয় আসন পাওয়া দল। ফলে একাদশ সংসদেও তারাই বিরোধী দল হিসেবে থাকছে।